ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজের ২ দিন পর মিলল শিশু নিবিরের মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৪
নিখোঁজের ২ দিন পর মিলল শিশু নিবিরের মরদেহ

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও পৌরশহ‌রের সালান্দর এলাকায় নিখোঁজের দুই দিন পর নিজ বসতঘ‌রের পেছন থেকে নিবির (১৩) নামে এক শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শ‌নিবার  (২০ এপ্রিল) শহ‌রের মাদরাসাপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু নিবির ওই এলাকার ওমান প্রবাসী আব্দুল সালাম বাবুলের ছে‌লে। সে স্থানীয় একটি প্রাথ‌মিক বিদ‌্যাল‌য়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও নিহত পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত (১৮ এপ্রিল) বৃহস্প‌তিবার দুপুরে খাবার খে‌য়ে বা‌ড়ির পা‌শে বন্ধু‌দের স‌ঙ্গে খেল‌তে যায় নি‌বির। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি তার। এরপর থেকে নিখোঁজ থাকে নি‌বির। আজ ভো‌রে ‌নিজ বসতঘরের পেছন থেকে নি‌বির মরদেহ দেখতে পায় তার মা শিল্পী খাতুন। এ সময় পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানা পু‌লিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা।

মা শিল্পী খাতুন আহাজারি করতে কর‌তে বলেন, দুইদিন থে‌কে কত জায়গা‌তে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। অথচ আজ তার লাশ বাড়ির পেছ‌নে পাওয়া গেল। আমার সন্তান‌কে কেউ অপরহণ করে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।  তবে কীভাবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি স্বজন এবং প্রতিবেশীরা।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির মরদেহ ফুলে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নি‌বি‌রের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরে সঠিক তথ্য জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। এর  আগে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা শিল্পী খাতুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে‌ন বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।