ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাংকের সোয়া ৫ কোটি টাকা লোপাট, ৫ কর্মকর্তার নামে দুদকের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৪
ব্যাংকের সোয়া ৫ কোটি টাকা লোপাট, ৫ কর্মকর্তার নামে দুদকের মামলা

সিরাজগঞ্জ: জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোপাটের অভিযোগে ওই শাখার ম্যানেজারসহ ৫ কর্মকর্তা ও অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

সোমবার (১ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলায় আসামি করা হয়েছে জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখার ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. খালেদ ইউনুছ (৩১), অফিসার মো. রাশেদুল হাসান (৩৪),  ক্যাশ অফিসার শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন।  

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জনতা ব্যাংক পিএলসি, তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ব্যাংকটির সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম গত ২৫ মার্চ বেলকুচি থানায় আসামিদের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় সেটি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনার উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়। অভিযোগটি যাচাই বাছাই করে দুদুকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হলে ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের হয়।  

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম, এরিয়া অফিসের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আসাদুজ্জামান ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান গত ২০ মার্চ তামাই শাখা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শাখার ম্যানেজার আল আমিন শেখকে অনুপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়। ক্যাশ যাচাই করে দেখা যায় যে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় ব্যাংকের নগদ ক্যাশ, চেক বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক রাজশাহী বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক অরুণ প্রকাশ বিশ্বাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে ২৪ মার্চ তামাই শাখার ম্যানেজার আল আমিন শেখ ব্যাংকে যোগদান করলে হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়ে টাকা আত্মসাতের বিষয় স্বীকার করেন। দায় স্বীকার করে তিনি পরিশোধের নিমিত্তে সানড্রি ডিপোজিট হিসাবে ২০ লাখ টাকা জমা দিলেও বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হন।  

দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, জনতা ব্যাংকের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি থানা থেকে আমাদের কাছে আসে। সেটি দুদুকের যাচাইবাছাই কমিটি (যাবাক) যাচাই করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। সেখান থেকে অনুমতি আসার পর মামলা হয়েছে হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধরকে।  

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রাতে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।