ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুর পৌরসভা মেয়রের অপসারণ চায় ১৪ কাউন্সিলর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪
সৈয়দপুর পৌরসভা মেয়রের অপসারণ চায় ১৪ কাউন্সিলর

নীলফামারী: নৈতিক স্খলন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিচার এবং অদক্ষার অভিযোগ তুলে নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের অপসারণ দাবি করেছেন পৌরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর।  

জেলা শহরের অদূরে ওয়াপদা এলাকায় শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মো. শাহিন হোসেন।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার নৈতিক স্খলন, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি করেই চলেছেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান। তার আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় সৈয়দপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রশ্নবাণে জর্জরিত ও বিব্রত পৌর পরিষদ।  

মেয়র রাফিকা চারজন পিএস রেখেছেন, যা তিনি কখনও পারেন না। মেয়রের আত্মীয়-স্বজন ও গৃহকর্মী ১৫ জনের নামে তিনি নিজেই বেতন উত্তোলন করে থাকেন। মেয়রের ব্যক্তিগত গাড়ির তেল ও পারিবারিক কাজে বাইরে গেলেও পৌরসভার ফান্ড থেকে তেল নিয়ে থাকেন। জেলা শহরের তামান্না মোড় ওয়াপদা মোড় ও দিনাজপুর রোড থেকে বসুনিয়া বাড়ির মোড় পর্যন্ত রাস্তা বেহাল দশায় পৌঁছেছে। পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাটও বেহাল দশা। অদক্ষ এই মেয়র কোনো কাজই করতে পারেনি।

সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, পৌরসভার নামীয় সম্পত্তি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুনরায় একই ব্যক্তিকে লিজ দেওয়া হয়েছে। রিভিউ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কম রেটে ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়। মেয়র রাফিকার অপকর্মের কারণে পরিবারের সদস্যরা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।  

পৌরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর এসব অভিযোগসহ অন্যান্য অভিযোগ দিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরেও আবেদন করার কথা জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো মতামত জানা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।