ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপগঞ্জে হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে রোষানলে ইউপি চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
রূপগঞ্জে হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে রোষানলে ইউপি চেয়ারম্যান

নারায়ণগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে সেখানে গিয়ে হকারদের রোষানলে পড়েন ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভূঁইয়া।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সামনে উপজেলার ভুলতা পুলিশ ফাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুলতা এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে বিভিন্ন দোকানপাট বসানো হতো। ফুটপাত দখলের ফলে বেশিরভাগ সময়ই মহাসড়কটিতে যানজট লেগে থাকায় ভোগান্তিতে পড়তেন সাধারণ মানুষ। গত ১০ দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান আহমেদ রাসেলসহ প্রশাসন ভুলতা এলাকার ফুটপাত পুরো উচ্ছেদ করে দেন। এরপর থেকে হকাররা ফুটপাতে স্বল্প জায়গা নিয়ে বসলে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান।

পরে শুক্রবার বিকেলে ভুলতা পুলিশ ফাড়ির সামনে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়া এক আখের রস্ বিক্রেতাকে ফুটপাত সরে অন্য কোথাও গিয়ে আখের রস বিক্রি করতে বলেন। আখের রস বিক্রেতা ফুটপাত থেকে সরতে রাজি না হলে আরিফুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এ সময় দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। লোকজন জড়ো হতে দেখে ভুলতা ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। এক পর্যায়ে আরিফুল হক ভূঁইয়া আখের রস্ বিক্রেতাকে পুলিশের সামনেই মারধর করতে থাকেন। এটি দেখে অন্যান্য হকার ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে মারধর করেন। পরে পুলিশ দুইপক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হকার বলেন, ফুটপাত উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফুটপাতে বসলেও পুলিশ আবার তাড়িয়ে দেয়। হকাররা যদি অন্যায় করে থাকে আইন আছে তাদের বিচার হবে। আরিফ চেয়ারম্যান আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। তিনি একজন হকারকে মারধর করেছেন এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি আখের রস বিক্রেতাকে ফুটপাত থেকে সরে অন্য স্থানে যেতে বলি। তিনি না গেলে আমি তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দেই। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে তার পক্ষেই কথা বলতে শুরু করে। এতে হকাররা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে বিষয়টি ভুলতা পুলিশ ফাড়িতে মীমাংসা হয়।

এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আরিফুল হক ভূঁইয়ার উচিত ছিল পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হকার উচ্ছেদ করতে যাওয়া। তিনি না জানিয়েই ফুটপাত উচ্ছেদ করতে গেছেন। আরিফুল হক ভূঁইয়ার ওপর হকাররা চড়াও হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এমআরপি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।