ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বইমেলা উপলক্ষে শুক্রবারও মেট্রোরেল চালু রাখার দাবি

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
বইমেলা উপলক্ষে শুক্রবারও মেট্রোরেল চালু রাখার দাবি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। এ আয়োজন উপলক্ষে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রকাশক, লেখক, পাঠক—সবাই।

সাধারণত বইমেলা শুরু হলে উত্তরা-মিরপুর সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন নিত্য-নৈমিত্তিক যানজট ঠেলে শাহবাগ আসতে পারতেন না বা চাইতেন না। তবে এবার কর্মজীবীসহ সবস্তরের বই পাগল মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। যে কারণে প্রকাশক, লেখক-পাঠক সবাই মেট্রোরেলের সমসাময়িক সুবিধার কথা জানিয়ে দাবি করছেন- সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও যেন মেট্রোরেল চালু করা হয়।

দাঁড়িকমা প্রকাশনীর প্রকাশক আলমগীর রুমির বাসা ও কার্যালয় মিরপুরে। বইমেলায় স্টলের কাজে গত দুই সপ্তাহে প্রতিদিনই তাকে যেতে হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে। মেট্রোরেল থাকায় তিনি অনায়াসে যাতায়াত সুবিধা পেয়েছেন।

আলমগীর রুমি বাংলানিউজকে বলেন, বছর ঘুরে আবারও আসা ফেব্রুয়ারি ভাষা ও লেখক-প্রকাশক-পাঠকের মাস। মেলা প্রাঙ্গণে বইয়ে ঠাসা শত শত প্যাভিলিয়ন, হাজারো নতুন বই ও লাখো পাঠকের উপস্থিতিতে রমরমা হবে বইমেলা। বাংলা সাহিত্য পাবে নতুন সম্পদ, সাহিত্যের ইতিহাস পাবে আগামীর লেখক।

তরুণ এ প্রকাশকের দাবি, মেট্রোরেলের কারণে এবার বইমেলায় আসা সবার জন্যই সহজ হবে। ছুটির দিনও যদি মেট্রোরেল চালু থাকে তাহলে স্বাচ্ছন্দ্যে বইমেলায় সবাই আসতে পারবেন।

একই কথা বলেছেন টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা ও বইপ্রেমী ফয়সাল মাহমুদ। ফেব্রুয়ারি এলেই তিনি নিয়মিত মেলায় আসেন ঘুরতে ও বই কিনতে। নিজের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল একটি গণপরিবহন। গণপরিবহনে শুক্রবার বন্ধ রাখা উচিত না। একইসাথে বইমেলার এ মাসে মেলায় প্রচুর মানুষ আসবেন। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের উচিত শুক্রবারও মেট্রোরেল চালু রাখা।

এ বিষয়ে একুশে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য ও আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দাবি করছিলাম মেট্রোরেলের সময় বৃদ্ধির। সেটা ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হওয়ায় এবার বইমেলায় পাঠকের পরিমাণ বাড়বে। মিরপুর-উত্তরার মানুষ আগে বইমেলায় আসতে পারতেন না যানজটের কারণে। এবার আসতে পারবেন অনায়াসে। শুক্রবারে মেট্রোরেল চললে আরও বেশি সংখ্যক পাঠক বইমেলায় আসতে পারবেন।

লেখক-প্রকাশক আর পাঠকদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেছেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কে. এম. মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবারে মেট্রোরেল চালু হলে সুবিধা হবে।

শুক্রবারে মেট্রোরেল চালুর দাবি পরীক্ষার্থীদেরও
শুধু বইমেলাকে কেন্দ্র করেই নয়, বছরের প্রতিদিনই মেট্রোরেল চালু রাখার দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, শুক্রবারে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরির পরীক্ষা হয়। মেট্রোরেল চালু থাকলে সব পরীক্ষার্থীরই সুবিধা।

শাকিলা ইয়াসমিন নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, যদি এটি হয় পরীক্ষার্থী ও ভ্রমণে আগ্রহীদের উপকার হবে।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ইফতিখার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেইনেন্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুক্রবারে মেট্রোরেল চালু হলে যাত্রীদের সুবিধা হতো। কিন্তু এখনও আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ চলছে, ভবিষ্যতে চালু করা হবে। কবে চালু হবে সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনের সূচি ১০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫ মিনিটে নামিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়েও কাজ করছি আমরা। কাজ শেষে এমডি ( এম এ এন সিদ্দিক) মহোদয় ঘোষণা দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।