ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দাম কমায় চাহিদা বেড়েছে দেশি ফলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৩
দাম কমায় চাহিদা বেড়েছে দেশি ফলের

ঢাকা: আমদানি খরচ বাড়ায় আকাশছোঁয়া বিদেশি ফলের দাম। সেই তুলনায় অনেকটাই ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে দেশি ফলের দাম।

তার ওপর বিভিন্ন দেশি ফলের মৌসুম চলছে এখন। আর তাই রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে দেশি ফলের চাহিদা।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি ফলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বাজারে।  

বর্তমানে পেঁপে, পেয়ারা, আনারস, কদবেল, সফেদার মতো দেশি ফলের ভরা মৌসুম চলছে। এখন ভরা মৌসুম না হলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বেল, জাম্বুরা, তরমুজ, বাঙ্গি, দেশি মাল্টা, আতা, অমলকির মতো ফল। সারা বছর পাওয়া যায় এমন ফলের মধ্যে রয়েছে কলা। প্রায় সবগুলো ফলের দামই রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।


বর্তমানে বাজারে মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি পেঁপে ৫০-৭০ টাকা, পেয়ারা ৪০-৮০ টাকা, তরমুজ ৭০-১২০ টাকা, বাঙ্গি ৬০ টাকা, দেশি মাল্টা ১২০-১৪০ টাকা, আতা ৩৫০ টাকা, সফেদা ১৪০-১৫০ টাকা ও অমলকি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া প্রতি পিস বেল ৬০ টাকা, কদবেল ২৫-৩০ টাকা, জাম্বুরা ৫০-১২০ টাকা, আনারস ২০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি ডজন সাগর কলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, বাংলা কলা ৬০-৭০ টাকা, চম্পা কলা ৬০ টাকা ও সবরি কলা ১০০ টাকা।  

বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে বিদেশি ফলের দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় দেশি ফলের দাম কম হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের দেশি ফলের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারাও বলছেন, দেশি ফলের দাম অনেকটা কম রয়েছে। তবে মৌসুম অনুযায়ী দাম আরো কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

আনোয়ার নামের এক বিক্রেতা বলেন, এখন পেঁপে, পেয়ারাসহ বেশ কয়েকটি দেশি ফলে মৌসুম চলছে। তাই দাম অনেক কম। যদিও মাস খানেক আগেও এসব দেশি ফলের দাম অনেক বেশি ছিল। এখন দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাই আগের তুলনায় ক্রেতাও বেড়েছে।

দেশি ফলের চাহিদা কেমন বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাসখানেক আগে যেখানে প্রতিদিন ১০০ কেজি পেয়ারা বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ২০০ কেজি করি। বিদেশি ফলের দাম বেশি হওয়ায় মানুষ দেশি ফল দিয়েই তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে।  

বিক্রেতা মামুন বলেন, বিদেশি ফল কেনার মতো সামর্থ্য বেশিরভাগ মানুষের নেই। যাদের টাকা আছে, তারাই বিদেশি ফল কেনে। মধ্যবিত্তরা খুব প্রয়োজন ছাড়া বিদেশি ফল কেনে না। দাম কম হওয়ায় মানুষ দেশি ফলই কিনছে বেশি।

কারওয়ান বাজারে ফল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মেজবাউল হক বলেন, দামের কারণে বিদেশি ফলে হাত দেওয়া যায় না। দেশি ফলের দাম এখন আগের চেয়ে কম, তাই আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে ফল কেনা। স্বাদের দিক দিয়ে দেশি ফল বিদেশি ফল থেকে কম নয়।

এদিকে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি ফল। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৬০-২৭০ টাকা, সবুজ আপেল ৩২০-৩৫০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৪০০ টাকা, ফুজি আপেল ২৬০-৩২০ টাকা, কমলা ২২০ টাকা, নাশপতি ২৬০, বেদানা ৪৫০-৭০০ টাকা, লাল আঙুর ৩৮০-৪৫০ টাকা, ড্রাগন ফল ২৬০-৩২০ ও সাম্বাম ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৩
এসসি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।