ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টোকিওতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
টোকিওতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত

ঢাকা: পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)  দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা পর্বে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিভ্রান্ত, পথভ্রষ্ট মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে পৃথিবীতে এসেছেন। তিনি ছিলেন ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী। রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ আরব সমাজের অনাচার-অত্যাচার দূর করতে মহানবী (সা.) প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘হিলফুল ফুযুল’ এর উল্লেখ করে বলেন, জাহেলিয়াতের মতো না হলেও এখনও সমাজে অন্যায়, অবিচার ও মানুষে-মানুষে বৈষম্য বিদ্যমান। তাই ‘হিলফুল ফুযুল’ বাংলাদেশসহ বিশ্বের যুব সমাজের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

রাষ্ট্রদূত বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাতিতে-জাতিতে, ধর্ম-গোত্রের মধ্যে সংঘাত বন্ধে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মুসলমান আর কুরাইশদের মাঝে ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি’র ঘটনা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি’র অনুসরণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বের চলমান যুদ্ধবিগ্রহসহ জাতিতে জাতিতে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে বিদায় হজের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, আরবের জন্য অনারবের ওপর, অনারবের জন্য আরবের ওপর, লালের জন্য কালোর ওপর এবং কালোর জন্য লালের ওপর কোনোরূপ প্রাধান্য নেই আল্লাহভীরুতা ব্যতীত। তিনি বিদায় হজের ভাষণকে মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী উল্লেখ করে বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এর চেয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আর হতে পারে না।

তিনি মহানবীর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন এবং নবীর আদর্শে জীবন গড়ার ও কাজ করার প্রত্যয় ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দুরুদ পাঠ এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে নবীজী ও তার পরিবারসহ, সব নবী-রাসুল এবং সমগ্র বিশ্বের মুসলমান যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য দোয়া করা হয়।  

এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদদের মাগফিরাতের কামনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
টিআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।