ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অধিকারের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শাহরিয়ার আলম

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
অধিকারের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শাহরিয়ার আলম ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকার শাপলা চত্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের ২০১৩ সালের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। রোববার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) এক্সে (আগের নাম টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ঢাকার শাপলা চত্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের ওপর অধিকারের ২০১৩ সালের প্রতিবেদনে শুধুমাত্র মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে মিথ্যা বলা হয়নি, আদিলুর ও এলানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের পক্ষে রাজনৈতিক পক্ষপাত স্পষ্টভাবে উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে হেফাজতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সম্পৃক্ততা এবং তাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের প্ররোচনা সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। যদিও এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের ভূমিকা বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে হেফাজতকে জনগণের প্ল্যাটফর্ম, অরাজনৈতিক ও  সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বলে অভিহিত করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এর ( হেফাজতে ইসলাম) উদ্দেশ্য ছিল ‘সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি ও সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন কুসংস্কার দূর করার জন্য সামাজিক সংলাপ’ প্রচার করা, যা ছিল প্রকৃতপক্ষে  ভুল। কেননা তাদের ১৩ দফা চরমপন্থার দাবির মধ্যে ছিল একটি নতুন ইসলামিক ধর্মনিন্দা আইন প্রণয়নের দাবি, যার মধ্যে ছিল মৃত্যুদণ্ড, নারী উন্নয়ন নীতি বাতিল, আহমাদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা প্রভৃতি।

আরও পড়ুন: অধিকার সম্পাদক আদিলুরের ২ বছরের কারাদণ্ড

প্রতিবেদনে মতিঝিলের অ্যালিকো বিল্ডিংয়ের কাছে শাপলা চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার সময় একজন পুলিশ অফিসারকে হেফাজতের হত্যার বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি (যা ডেইলি স্টারের একজন সাংবাদিক প্রত্যক্ষ করেছেন)।

প্রতিবেদনটি হেফাজতের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হিসাবে কাজ করেছে। প্রতিবেদনে হেফাজতের অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মসূচিতে মাদরাসার ছাত্রদের (বেশিরভাগ কম বয়সী) ব্যবহারকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন করা হয়েছে। এই শিশুদের বেশিরভাগই আসলে এতিম, ভরণ পোষণের জন্য সম্পূর্ণরূপে মাদ্রাসার ওপর নির্ভরশীল, তাদের কোনো সংস্থা নেই। তাদের সমাবেশে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছিল বা প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।

এখন আদিলুর রহমান খান এবং এলানের বন্ধু ও সমর্থকরা হয়তো কান্নাকাটি করতে পারেন, তাদের দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করতে চান। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের অন্যতম সহিংস রাজনৈতিক সময়ে অধিকারের ভুল তথ্যের মাত্রাকে সমর্থন করতে পারেন না।

ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।