ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

 

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) সম্মেলন কক্ষে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুন নাহার, মোহাম্মদ নাছিমুল কামাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচার খুনিদের উৎসাহিত করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো খুনিদের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন। আর ২১ আগস্ট তো ঘটানো হয়েছে তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে। এখন তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অর্থাৎ খুনিদের সেই দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি তো খুনিদের মুখপাত্র হিসেবে এ কথাগুলো বলছেন। খুনিদের মুখপাত্রের বক্তব্য যেমন ঘৃণ্য, নিকৃষ্ট, জঘন্য ও মিথ্যাচার হয়, তিনি সে রকমই কথা বলছেন। সেটির জবাব আমি গতকাল দিয়েছি।

আগামী শুক্র ও শনিবার বিএনপি গণমিছিল ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির গণমিছিল, হাঁটা মিছিল, দৌড়ানো মিছিল, বসা কর্মসূচি এগুলো কর্মীদের চাঙা রাখার জন্য করা হচ্ছে। কারণ জিরো পলিটিক্সের কারণে, যেগুলো পত্র-পত্রিকায় খবর এসেছে, সেগুলোর কারণে তাদের মধ্যে হতাশা ও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সেজন্য রাত ৩টাও সংবাদ সম্মেলনে ডাকছেন তারা। সেজন্য তাদের কর্মীরাও হতাশ, কর্মীদেরকে চাঙা রাখার জন্য একটু গণমিছিল, কোনো সময় বসা কর্মসূচি, কোনো সময় অন্য কর্মসূচি, এগুলো দিয়ে কর্মীদের চাঙা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলো গতানুগতিক, অন্য কিছু নয়।  

গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে কোনো জঙ্গি নেই। গ্রাম থেকে যাদের ধরা হচ্ছে, এগুলো সব আওয়ামী লীগের নাটক। এগুলো ভারত ও বিশ্বকে দেখানোর জন্য। মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন হলো জঙ্গি আটক করলে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ বিএনপির নেতাদের গাত্রদাহ হয় কেন? এতেই প্রমাণিত হয় কোনো জঙ্গি ধরলে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির নেতারা কথা বলেন। আগে বেগম খালেদা জিয়া বলতেন। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, দেশে কোনো জঙ্গি নেই, কিছু মানুষকে ধরে এনে আটকে রাখা হয়, চুল-দাড়ি লম্বা হলে জঙ্গির আখ্যা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিছু ধার্মিক লোককে ধরে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যেমন দলের চেয়ারম্যান, তেমন দলের মহাসচিব। চেয়ারম্যান যে লাইনে কথা বলবে, মহাসিচব যদি সে লাইনে কথা না বলে তাহলে মহাসচিবের দায়িত্বে থাকবে না। এ সব বক্তব্যের মাধ্যমে, এটিই প্রমাণিত হয়, দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলো বিএনপি ও বিএনপির নেতারা।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেটি আগে থেকে বলে এসেছি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গত কয়েক দিনের বক্তব্য এটিই প্রমাণ করে, দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলো বিএনপি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম, যদি তারা পৃষ্ঠপোষকতা না করতো। তাদের ভেতরেও জঙ্গিরা আছে। তাদের যে জোট, সেই জোটের মধ্যে জঙ্গিরা আছে।  

তিনি বলেন, বিএনপি নিজেই একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কানাডার আদালত কর্তৃক পর পর ৫ বার রায় পেয়েছে এবং আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অথরিটি বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিএনপি যেহেতু নিজেরা সন্ত্রাসী, জঙ্গি লালন করবে, সেটা খুবই স্বাভাবিক। এজন্য জঙ্গি ধরলে তাদের গাত্রদাহ হয়।  

দেশের দুটি টিভি বয়কট করেছে বিএনপি, এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয় কি না, জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি কাগজে দেখেছি, বিএনপি দুইটি টিভির টকশো বর্জন করবে। দুটি টিভিই জনপ্রিয়, তাদের টকশো মানুষ প্রচুর দেখে। এখন বর্জন করলে তারা সেখানে গিয়ে কথা বলার সুযোগ হারাবে। এখন দুটি করেছে, কয়েকদিন পরে আরও চারটি করবে।  কয়েকদিন পর বলবে গণমাধ্যমকেই বর্জন করলাম। সেটি বলে কি না, সে আশঙ্কার মধ্যে আছি।  

ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করেছেন, সেখান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কী মাইলফলক বাংলাদেশ পেতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ব্রিকস উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট। সেই জোটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর অর্থ হলো বাংলাদেশ যে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, সেটিকে স্বীকার করে নেওয়া। সেই জোটে যদি আমরা যোগ দিই। তাহলে আমাদের অর্থনীতি আরও চাঙা, হবে এটাই স্বাভাবিক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।