ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাদকসেবীদের কলঙ্ক-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
মাদকসেবীদের কলঙ্ক-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব

ঢাকা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মাদকসেবীদের কলঙ্ক ও বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

মহাসচিব বলেন, বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ মাদক সেবনজনিত ব্যাধিতে ভুগছে। এর এক পঞ্চমাংশেরও কম চিকিৎসার আওতায় রয়েছে। মাদক ব্যবহারকারীরা দুইভাবে ক্ষতির শিকার হয়। প্রথমত, মাদকের ক্ষতিকারক প্রভাব দ্বারা এবং দ্বিতীয়ত, তারা যে কলঙ্ক ও বৈষম্যের শিকার হয়, তার মাধ্যমে তারা ক্ষতির শিকার।

তিনি বলেন, যারা মাদক ব্যবহার করেন তারা প্রায়শই চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাধার সম্মুখীন হতে পারেন, এমনকি এইচআইভি বা এইডস ও হেপাটাইটিসের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্তরা স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। এদিকে মাদক পাচারকারীরা মাদক ব্যবহারকারীদের তাদের শিকারে পরিণত করেই চলেছে, যা বিপজ্জনক ও অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত সিন্থেটিক মাদকের (নানা বস্তুর সংমিশ্রণে তৈরি) দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

এ বছর মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস কলঙ্ক ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে এবং প্রতিরোধ জোরদার করার মাধ্যমে সবার আগে মানুষকে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এর অর্থ হলো, ছোটখাটো মাদক অপরাধের জন্য শাস্তি ও কারাদণ্ডের পরিবর্তে পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া। প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণসহ মাদক সেবনকারী ব্যক্তিদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখা।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সর্বোপরি, এর অর্থ হলো, সরকারগুলো নেতৃত্বের ভূমিকায় থেকে পথ দেখাবে। আমি যখন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, তখন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেউ মাদকদ্রব্য নিজের কাছে রাখলে তাকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা না করে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। তবে, পাচারকারীদের দমনে অভিযান চালানোর পাশাপাশি প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও ক্ষতি কমানোর পদক্ষেপে সম্পদ পুনর্বণ্টন করেছিলাম।

ফলস্বরূপ, মাদক সেবন এবং মাদকজনিত সংক্রামক রোগে আক্রান্তের হার কমেছিল, পুলিশ ও কাস্টমস বিভাগ আরও অধিক পরিমাণে মাদক জব্দ করেছিল এবং সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা হচ্ছে‒ জীবন বাঁচানো গিয়েছিল। আজ ইউরোপের মধ্যে অতিমাত্রায় মাদক গ্রহণ ও মাদকজনিত মৃত্যুর হার পর্তুগালে সর্বনিম্ন।

তিনি বলেন, একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায় হিসেবে আসুন মাদকের অপব্যবহার, অবৈধ পাচার এবং বিশ্বজুড়ে মাদক ব্যবহারকারীদের যে কলঙ্ক সহ্য করতে হয়, তার অবসান ঘটাতে আমাদের কাজ চালিয়ে যাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুন ২৬,  ২০২৩
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।