ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভিসানীতি আমরাও করতে পারি, অপেক্ষায় থাকুন: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
ভিসানীতি আমরাও করতে পারি, অপেক্ষায় থাকুন: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা বিশ্বের দেশে দেশে ভিসা নীতি করুক, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। ভিসা নীতি আমাদেরও থাকতে পারে।

আমরাও করতে পারি। শুধু অপেক্ষা করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাপিটাল হিলে তাদের দেশের ৯ জন লোক মারা গেল, কিন্তু ট্রাম্প গতকালও বলেছে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে ফর স্টিলিং অ্যান্ড রিগ্লিং ইলেকশন। এখনো গত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি। তো এই ডেমোক্রেসি নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে টঙ্গীর চেরাগআলীতে বিআরটি প্রকল্পের চার কিলোমিটার সেতু টঙ্গী থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি আর দুঃশাসনের কথা বললেই বিএনপির নাম উচ্চারণ করতে হয় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির যারা দুর্নীতি দুঃশাসন করেছেন, তারা এখন এসব কথা বলছেন। তারা কোন মুখে এতো বেশি কথা বলছেন, আমরা ঠিক জানিনা।  

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) আগামী নির্বাচন হতে দেবে না। আবার এখন বদরুদ্দিন ওমর সাহেবরাও মাঠে নেমেছেন। নির্বাচন না করতে দেওয়ার বিষয়ে তারা বিএনপিকে পরামর্শও দিচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না- এই কথা বলার পর মার্কিন ভিসা নীতির কেন ধীরগতি। নির্বাচন করতে দেবে না বলে তারা যে কথাটা বলছে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, সেই নির্বাচনে বাধা দেওয়ার পরিষ্কার ঘোষণা করছে বিএনপি। এখানে ভিসা নীতি কি কাজ করে, আমরা সেটাই দেখবো। নির্বাচনকে সামনে রেখেই তো তাদের সব নীতি। ভিসা নীতি এখানে অন্ধ হয়ে থাকবে, নাকি বধির হয়ে থাকবে, নাকি বাস্তবভাবে কোনো পদক্ষেপ নেবে, সেটাই আমরা দেখবো।

বিএনপি বলছে, আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হবে, জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কথা গত ১৪ বছর যাবত শুনে আসছি। সরকার থাকতে পারবে না, সরকারকে বিদায় নিতে হবে, আন্দোলন করে এই সরকারকে বিদায় করা হবে। আসলে, আন্দোলনটা কার বিরুদ্ধে? সরকারের বিরুদ্ধে, আন্দোলনটা কাকে নিয়ে করবে? জনগণ? এই পর্যন্ত তারা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য দর্শনীয় একটা মিছিল করতে পারে নাই। একটা বিক্ষোভ রাজপথে তারা দেখাতে পারে নাই। আর সরকার হটানোর জন্য দেশে একটা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান ঘটাবে! আগামী ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বেগম জিয়া দেশ চালাবেন!

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি একটা কথা বলি, বিদেশে পলাতক কোনো নেতার রিমোট কন্ট্রোল আহ্বানে বাংলাদেশে জনগণের সম্পৃক্ততায় আন্দোলন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা বহুবার ট্রাই করে দেখেছে, কাজ হয় নাই। আন্দোলন যাকে বলে, এখন পর্যন্ত তারা তাদের অ্যাকশনে সেটাই প্রমাণ করতে পারে নাই।

আমেরিকা যে ভিসা নীতির হুমকি দিচ্ছে, এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার কী ভূমিকা নেবে- বাংলাদেশের কোনো নীতি রয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা এটা নিয়ে প্রশ্ন করেন না কেন? ক্যাপিটাল হিলে তাদের দেশের ৯ জন লোক মারা গেল, কিন্তু ট্রাম্প গতকালও বলেছে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে ফর স্টিলিং অ্যান্ড রিগ্লিং ইলেকশন। এখনো গত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি। তো এই ডেমোক্রেসি নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই। দেশে দেশে ভিসা নীতি তারা করুক, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। ভিসা নীতি আমাদেরও থাকতে পারে। আমরাও করতে পারি। শুধু অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
এসজেএ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।