ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আবহাওয়া দেখে নৌযান বের করার আহ্বান নৌ-পুলিশ প্রধানের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আবহাওয়া দেখে নৌযান বের করার আহ্বান নৌ-পুলিশ প্রধানের 

ঢাকা: নৌ-পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো.শফিকুল ইসলাম বলেছেন, এবার আষাঢ় মাসে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মাসে ঝড়-বৃষ্টি বেশি হয় বলে ঈদযাত্রা থেকে শুরু করে নৌপথে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের নৌ পুলিশ কনফারেন্স রুমে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌপথের আইন শৃঙ্খলা ও নৌ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টদের এই আহ্বান জানান শফিকুল ইসলাম।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে লাখ লাখ কোরবানির পশু নৌপথে ঢাকায় আসবে। কোনো ধরনের বাধা ছাড়া এসব পশু যেন ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে আসতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব। এছাড়া পশু যেন হাটে বিক্রি করে নিরাপদে ব্যবসায়ীরা নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারেন সেই দিকেও নজর রাখবো আমরা।  

নৌ-পুলিশের প্রধান বলেন, গত বারের ঈদটি কোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা ছাড়াই কেটেছে। এবারও সমন্বিতভাবে কাজ করবো যাতে করে কোনো ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা না ঘটে। যেহেতু এই ঈদটি আষাঢ় মাসে হচ্ছে, তাই এবার অতিরিক্ত সাবধানতা নিতে হবে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে তখন নৌযান চালানো যাবে না। যাত্রীবাহী হোক কিংবা পশুবাহী আবহাওয়ার অবস্থা জেনেই আমরা নৌ-পথে নৌযান নিয়ে রওনা হবো।  

তিনি বলেন, ঈদযাত্রার যাত্রীবাহী ও পশুবাহী নৌযানকে আমরা সাহায্য করতে দেশজুড়ে আমাদের ১৪২টি ইউনিট রয়েছে। এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগ করেও সাহায্য নেওয়া যাবে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালের চৌঘাট দিয়ে ঈদে নৌ-পথে লাখ লাখ যাত্রী যাতায়াত করবেন। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌ-পথে যাত্রা না করতে মালিক ও শ্রমিকদের অনুরোধ জানান তিনি।  

এছাড়া ফিটনেসবিহীন লঞ্চ নিয়ে যেন ঈদযাত্রা কোনো মালিক না করেন এবং প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়, এটাও নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন নৌ-পুলিশ প্রধান।  

অন্যদিকে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রেও নিরাপদ নৌযান ব্যবহার করতে হবে।  কোনোভাবেই যেন অনিরাপদ নৌযান দিয়ে কোরবানির পশু পরিবহন না করা হয়। এসব বিষয় তদারকি করতে প্রতিটি ঘাটেই পর্যাপ্ত সংখ্যক নৌ-পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

বালুবাহী বাল্কহেডের বিষয়ে নৌ-পুলিশ প্রধান বলেন, নৌ দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘটে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে। ঈদের কয়েক দিন আগে ও পরে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে, এটি সরকারি নির্দেশ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই সময়ে কোনোভাবেই বাল্কহেড চালানো যাবে না। এছাড়াও মনে রাখতে হবে সারা বছরই কোনোভাবে রাতের বেলায় বাল্কহেড চালানো যাবে না৷ 

নৌ-পথে পশুবাহী নৌযান যেন ডাকাতির শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে নৌ-পুলিশ কাজ করে যাবে জানিয়ে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বড় হাটে নৌ-পথে পশু পরিবহন করে নিয়ে আসা হবে। নৌপথে যেন এসব পশুবাহী নৌযান ডাকাতির শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো। নৌপথে ডাকাতি বন্ধে ও আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমাদের ২০০ হর্স পাওয়ারের স্পিডবোড রয়েছে, তাই নৌপথে ডাকাতদের ধরতে আমরা সক্ষম। আর কোরবানির পশুর বিক্রির টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি ব্যবসায়ীদের। তারপরও যদি কোনো ব্যবসায়ী নগদ টাকা নিয়ে যেতে চান, সহায়তা চাইলে আমরা সাহায্য করবো।

তিনি বলেন, ঘাট ও পশুর হাট হকারমুক্ত রাখতেও কাজ করবে নৌপুলিশ।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, নদীর পাড়ে আশেপাশে যে গরুর হাটগুলো বসবে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেটা ছোট হোক বা বড়। যেখানে মনে হবে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন সেখানেই আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জনগণের ঈদের আনন্দ নিরাপদ করতে নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে অব্যবস্থাপনা ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে বিভিন্ন টিম কাজ করবে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।