ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

কিছুটা বিলম্বে ট্রেন ছাড়লেও কমলাপুরে নেই বিশৃঙ্খলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২৫, এপ্রিল ২১, ২০২৩
কিছুটা বিলম্বে ট্রেন ছাড়লেও কমলাপুরে নেই বিশৃঙ্খলা

ঢাকা: শনিবার যদি ঈদ হয়, তাহলে আজই ঈদ যাত্রার শেষ দিন। তাই পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে বাড়ির পথে ছুটছেন রাজধানীবাসী।

তবে শেষ দিনেও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নেই অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। এতে অনেকটা স্বস্তিতেই কাটছে সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা। যদিও কিছুটা বিলম্বে ছাড়ছে প্রায় সবগুলো ট্রেন।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। তিন স্তরের টিকিট পরীক্ষা শেষে সুশৃঙ্খলভাবে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেছেন যাত্রীরা। আসন সংখ্যার বিপরীতে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করায় অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে গেলেও নেই গাদাগাদি অবস্থা। ফলে নিজ আসনে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছেন আগাম টিকিট কাটা যাত্রীরা।

এছাড়া বৃহস্পতিবারের মতো আজ ছাদে কোনো যাত্রী দেখা যায়নি।

অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় না থাকলেও সকাল থেকে প্রায় সবগুলো ট্রেনই কিছুটা বিলম্বে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। চারটি ট্রেনকে ১৫ মিনিট থেকে সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ৯টা ৩০-এ ছেড়েছে। দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৯টা ২৫ মিনিটে। সেটি ছেড়ে গেছে প্রায় ২০ মিনিট দেরিতে ৯টা ৪৫ মিনিটে।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ১৫ মিনিট বিলম্বে ১০টায়, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা বিলম্বে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং একতা এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে ১০টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায়।

তবে আজ আর সকাল থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবার ট্রেনের আগাম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করায় যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে। সিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেজন্য রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

মূলত শুক্রবার থেকে বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন কল-কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। এদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী কোনো ট্রেনেই ছিল না তিল ধারনের ঠাঁই। এমনকি ট্রেনের ছাদেও ছিল শত শত যাত্রী। এছাড়া স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য ছিল যাত্রীদের হাহাকার।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এসসি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ