ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গণহত‍্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আরও সোচ্চার হতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপনেডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
গণহত‍্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আরও সোচ্চার হতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: নিরীহ বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত‍্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সবাইকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী ৷

শনিবার (২৫ সার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’-এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাকে বিরাণভূমি বানাতে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ‍্যমে অসংখ‍্য গণহত‍্যা সংঘটিত করেছিল।

কিন্তু তারা পারেনি। নির্বিচারে গণহত‍্যার খবর শুনে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। বীর বাঙালি  বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বাধীনতাকে ধরে রাখার জন‍্য দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের মধ‍্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় গণহত‍্যা সেটি কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত‍্যার পর ২১ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা যে গণহত‍্যাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল সেটিকে আবার সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ সংঘটিত  হয়েছিল- পৃথিবী যেন স্বীকৃতি দেয়; জাতিসংঘ যেন স্বীকৃতি দেয়। সেজন‍্য সবাইকে আরও সোচ্চার হতে হবে।

খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে নতুন প্রজন্ম সামনের দিকে পথ চলছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত‍্যাকারীদের বিচার করেছি; ৭১-এর অপরাধীদের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধুর করা স্বল্পোন্নত দেশকে মধ‍্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের গ্র‍্যাজুয়েশনের অপেক্ষায় আছি। উন্নত দেশের টার্গট নির্ধারণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশে কোনো ড. ইউনুস তৈরি হবার সম্ভাবনা নাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্রকে জয় করেছি। যে দারিদ্রতাকে বিক্রি করে ড. ইউনুসরা নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এসেছে। এখন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দারিদ্রতাকে নিয়ে নয়।

জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফুজ্জামান মিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম‍্যান এমদাদ সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
এসকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।