ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সূবর্ণচরে ছুরিকাঘাতে গরু ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
সূবর্ণচরে ছুরিকাঘাতে গরু ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে দিদারুল আলম বেচু (২০) নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

গ্রেফতাররা হলেন, উপজেলার চরকলমী গ্রামের মো. সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বেলাল (২০), একই গ্রামের মো. মাহফুজের ছেলে মো. রাশেদ (৩০), মৃত আমিনুল হকের ছেলে মো. মাইন উদ্দিন পিষ্টু (৩২), মৃত আবুল কালামের ছেলে  মো. লোকমান হোসেন (৩৭) ও দক্ষিণ চরকলমী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. মহিন উদ্দিন চঁন মিয়া (২১)।

নিহত দিদার উল আলম বেচু উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের মাইন উদ্দিন বেপারীর ছেলে।

গত শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ৬ মার্চ বিকেলের দিকে উপজেলার ছমিরহাট থেকে গরু বিক্রি করে আসার পথে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামের গোলাম মাওলার কিল্লা সংলগ্ন শওকতের প্রজেক্টের দক্ষিণ পাশে ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

এসপি শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৬ মার্চ বিকেলে গরু বিক্রি করে উপজেলার ছমির হাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী দিদার। এ সময় এক দল ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে তার সঙ্গে থাকা সব টাকা ও ফোন নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয় এক অটোরিকশার চালক তাকে দেখতে পেয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার ১০ মার্চ দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এসপি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার বেলাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ও হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের ও অপর ৬ আসামির জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তার জবানবন্দি অনুসারে আরও ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, গাছের ঢাল ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

সোমবার (১৩ মার্চ) অপর আসামি মো. রাশেদ (৩০) বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে, ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।