ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানবাধিকার রক্ষায় যেকোনো কাজে সরকার সহায়তা করবে: আইনমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
মানবাধিকার রক্ষায় যেকোনো কাজে সরকার সহায়তা করবে: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার।

মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে যে কাজ করবে, সরকার তাকেই সহায়তা করবে।  
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আনিসুল হক বলেন, দেশের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখনও পৌঁছাতে পারেনি। এসব জায়গায়ও কমিশনকে কাজ করতে হবে।  

তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ মানুষ এখনও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। এসব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনের পেছনেও ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে। সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে হবে।  

আইনমন্ত্রী বলেন, মানুষে মানুষে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে।

আনিসুল হক কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনুসন্ধানের তথ্য কমিশন পাওয়া মাত্র সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন, যাতে সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারে।

বৈঠকে চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমিশনের কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান এবং তা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি কমিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ, অবৈতনিক সদস্যদের মর্যাদা নির্ধারণ, সরাসরি কমিশনের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন।  

সাক্ষাৎকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কমিশনের অবৈতনিক সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।