ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পালাতে চাইলে চেয়ারম্যানকে দৌড়ে গিয়ে মেরেছি: নারী ইউপি সদস্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
পালাতে চাইলে চেয়ারম্যানকে দৌড়ে গিয়ে মেরেছি: নারী ইউপি সদস্য

হবিগঞ্জ: আগের বিরোধ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে বানিয়াচং উপজেলায় শেখ সামছুল হক নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের গায়ে হাত তুলেছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ফাহিমা আক্তার।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

শেখ সামছুল হক উপজেলার ১৩ নম্বর মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। দুই জনপ্রতিনিধির মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা এখন উপজেলার ‘টক অব দ্য টাউন’।

হাতাহাতির বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি সদস্য ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমাকে নিয়ে কটাক্ষ করতেন। আজ একটি বিরোধ নিষ্পত্তি শেষে আবারও কটাক্ষ করেন। এজন্য আমি তার গায়ে হাত তুলেছি, তিনি পালাতে চেয়েছিলেন, আমি দৌড়ে গিয়েও তাকে মেরেছি। ’

জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনের পর থেকেই এ দুই জনপ্রতিনিধির মধ্যে ঝামেলা চলছিল। বুধবার তারা উপজেলা পরিষদে যান। বিকেলে বের হওয়ার পথে পরিষদের প্রধান ফটকে সামনাসামনি হলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।  

ঘটনাস্থলের পাশের এক দোকানি বলেন, ‘উভয়ের মধ্যে গালিগালাজ হয়। এক পর্যায়ে তারা একে অন্যের গায়ে হাত তোলেন। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের শান্ত করেন। ’

তবে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক ঘটনা অস্বীকার করে এড়িয়ে গেছেন। রাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নাহ, আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ’

যদিও জানা গেছে, ওই নারী ইউপি সদস্যের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার দিয়েছেন চেয়ারম্যান।  

এ বিষয়ে বানিয়াচং ইউএনও পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আমার নিকট বিচার চাইতে এসেছিলেন। এটি যেহেতু ফৌজধারী আইনের আওতায় পড়ে, সেজন্য তাকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।