ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

রহস্যময় পাহাড়ের গায়ে আলো-আঁধারের খেলা 'বাতুকেভ'!

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
রহস্যময় পাহাড়ের গায়ে আলো-আঁধারের খেলা 'বাতুকেভ'! পাহাড়ের গায়ে আলো-আঁধারের খেলা

মালয়েশিয়া থেকে: এশিয়ার ইউরোপ মালয়েশিয়া। পরিপাটি এই দেশটিতে নানা আর্কষনীয় পযর্টন এলাকা। মালেশিয়ার কুয়ালামপুর শহর থেকে প্রায় তের কিলোমিটার দুরে পাহাড়ের গায়ে বাতুকেভ। শহরের উপকণ্ঠে  পাহাড় আর পাহাড়ের গুহায় আলো-আঁধারের খেলা 'বাতুকেভ' মন্দির।

পাহাড়ি এলাকা দিয়ে মসৃণ সড়ক ধরে ছুটে চলছে অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবা-উবার। সারি সারি সবুজে আচ্ছাদিত পাহাড় পেরিয়ে থামল বাতুকেভ মন্দিরে।

গাড়ি থেকে নামতে ঝাঁকে ঝাঁকে পায়রার উড়াউড়ি। সঙ্গে বানরের ছোটাছুটি! পর্যটক ও পূণ্যার্থীরা বাদাম কলা ছিটিয়ে দিচ্ছেন।  

গুহায় প্রবেশের আগে সোনালি রঙের বিশালাকৃতির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কার্তিকের মূর্তি, যা স্থানীয়দের কাছে 'মুরুগান মূর্তি নামে পরিচিত। তাতে লেখা 'ওয়ার্ল্ড টলেস্ট মুরুগান স্টাচু'। দুর থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠা গুহায় প্রবেশের দীর্ঘ সিঁড়ি দেখে যে কারো চোখ কপালে উঠবে। প্রায় ৩০০ (২৭২) সিঁড়ির এ পথ- পাহাড় ও মেঘের গায়ে হেলান দেয়া পাহাড়ের সৌন্দর্যে আকৃষ্টতা এমন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়রা হয়ত সহজেই লুফে নিবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলে পূণ্যের আশা তো রয়েছেই।
পাহাড়ের গায়ে আলো-আঁধারের খেলাদীর্ঘসিঁড়ির এই পথ-চাইলে থেমে থেমে উঠা যায়। গুহায় যাওয়ার পথে বানরের বাঁদরামো থেকে সর্তক থাকতে হবে।  ভাবলেন, দীর্ঘ সিঁড়ি বেয়েছেন, পিপাসা পেতে একটু জুস বা পানি নেই, সর্তক না থাকলে ছুঁ মেরে বানর আপনার স্বাদের পানীয়টি নিয়ে নেবে। অন্যদিকে, আকর্ষিক আক্রমণে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে!

গুহায় প্রবেশ সিঁড়ি দিয়ে উঠতে মনোরম সবুজ পাহাড় উপভোগের পাশাপাশি রয়েছে পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝর্ণা ধারা। যা মালয়েশিয়ার উষ্ণ আবহাওয়ায় শীতল পরশ। যারা পাহাড় ভালোবাসে তারা বুঝে পাহাড়ের টান আর রহস্য- দীর্ঘ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে জয়ের হাসি! 
পাহাড়ের গায়ে আলো-আঁধারের খেলা

মুরুগানের জন্য উৎসর্গিত এ মন্দিরের গুহায় সনাতন ধর্মীয় মূর্তি ও স্মারক দিয়ে পূর্ণ।  গুহার সম্মুখ ভাগে রয়েছে হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীর মূর্তি ও ধর্মীর গন্থের ছোট ছোট দোকান। বাতুকেভ রয়েছে অ্যাডভেঞ্চারাস ১৬০টি রুট। মন্দিরের নিচে রয়েছে অন্ধকার গুহা। তবে মেরামতের কাজ চলায় গুহার ভেতরে কয়েকটি স্থানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্মাণ কাজের কারণে অপরিস্কারও দেখা গেলো গুহার ভেতর।  

সনাতন ধর্মাম্বলীদের নির্মাণ কাজে সহায়তা  ও পূণ্যের আশায় কেউ কেউ সিঁড়ি বেয়ে দুইটি ইট, বালতি করে বালু-সিমেন্ট নিয়ে দিচ্ছেন। এর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রবাসী ভারতীয় তামিলরা অধিকাংশ। বাতুকেভে দর্শনার্থীদের আসা শুরু হয় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিনামূল্যে প্রবেশ।  

দর্শনার্থীদের আনাগোনাকে কেন্দ্র করে পুরো চত্বর জুড়ে মার্কেট গড়ে উঠেছে। তাতে পোশাক থেকে শুরু করে সব ধরণের জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়।

মানসুরা চামেলী

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট



বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এমসি/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ