ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাজী সেলিমের দুদকের মামলার নথি হাইকোর্টে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
হাজী সেলিমের দুদকের মামলার নথি হাইকোর্টে হাজী মোহাম্মদ সেলিম

ঢাকা: আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর)  হাইকোর্টে এসে পৌঁছছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত এ নথি পাঠিয়েছেন।

বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ৮ ডিসেম্বর মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসেছে। এরপর বুধবার হাজী সেলিমের আপিলটি কার‌্যতালিকায় ওঠে। কিন্তু শাখা থেকে নথিআদালতে আসেনি। এ কারণে আজকে নট টু ডে রাখা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার ফের আপিলটি কার‌্যতালিকায় থাকবে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ নথি তলব করেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ৯ নভেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, ৮ নভেম্বর তিনি দুদক থেকে এ মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। পরদিন ৯ নভেম্বর সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। এরপর  আপিলটি কার‌্যতালিকাভূক্ত হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নথি তলব করেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
ইএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।