ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মামলা মিটিয়ে ৪৭ দম্পতিকে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
মামলা মিটিয়ে ৪৭ দম্পতিকে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ

সুনামগঞ্জ: মামলা মিটিয়ে ৪৭ দম্পতিকে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ দিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  ট্রাইবুন্যাল।

 

কাউকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাদী-বিবাদী (স্বামী-স্ত্রীকে) সহাবস্থানে থেকে এক সঙ্গে বসবাস করার শর্তে আপোষ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

 

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ৪৭টি পৃথক মামলার একসঙ্গে দেওয়া রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

পৃথক মামলার বাদী-বিবাদীর আপোষ নিষ্পত্তির অঙ্গীকারনামা পেয়ে আদালত একসঙ্গে দেওয়া রায়ে ৪৭টি মামলার ৯৪ জন বাদী-বিবাদী (স্বামী ও স্ত্রীকে) একত্রে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৪৭ দম্পতিকে ফুল দেওয়া হয়।  

আদালতের আপোষনামায় ৪৭ দম্পত্তি অঙ্গীকার করে বলেন, সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তারা। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দিবেন। স্বামী-স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমানিল্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। স্বামী কখনও স্ত্রীকে নির্যাতন করবেন না, স্ত্রীকে নির্যাতন করলে বা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।  

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালত পৃথক ৪৭টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় একসঙ্গে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন। সব মামলার বাদী বিবাদীকে আপোষে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 
আদালত বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীকে মিলেমিশে পরিবারে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে। ভবিষ্যতে তারা ঝগড়-বিবাদ না করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবেন।

বিচার প্রার্থীরা জানান, এ রায়ে তারা অনেক খুশি হয়েছেন। তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে। যদি মা-বাবা আলাদা হয়ে যেত তা হলে সন্তানের ভবিষ্যত হুমকির সম্মুখীন হত। এখন আমরা মিলে মিশে সংসার করলে সন্তানদেরও মানুষ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।