ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

 শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা মামলার রায় রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
 শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা মামলার রায় রোববার সাইদুর রহমান পায়েল

ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার রায় রোববার (১ নভেম্বর)। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করবেন।

গত ৪ অক্টোবর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ মামলায় জামিনে থাকা তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বিচারক রায়ের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা আশা করছেন আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। তিনি বলেন, মামলাটি চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে এই আদালতে এসেছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছি। দুই আসামি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সার্বিক বিবেচনায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলেই আমরা আশা করছি।

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। দুই দিন পর ২৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এর পর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে জামাল হোসেন ও ফয়সাল হোসেন দুই ভাই।

গজারিয়া থানা পুলিশ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হলেও পরিবারের আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই বিচারাধীন ছিল।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছেন। এছাড়া আসামি পক্ষে চারজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।