ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ‘ইনডেমনিটি’ নাটক সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দায়ের করা মামলা খারিজ হয়েছে।
মামলাটি গ্রহণের মতো কোনো উপাদান না থাকায় মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান এই আদেশ দেন।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মঙ্গলবার সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি হয়। আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।
মামলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। অন্য বিবাদীরা হলেন— নাট্যকার মান্নান হীরা, অভিনেতা সাজু খাদেম, নোয়াখালী-২ আসনের এমপি ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, ‘ইনডেমনিটি’ নাটকটিতে ইতিহাস বিকৃতি করে মানহানিকর তথ্য সম্প্রচার করা হয়। তাই এই নাটকটি সম্প্রচারের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়মুক্তির প্রতিবাদে সম্প্রতি দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইনডেমনিটি নাটক সম্প্রচার হয়। যাতে পঁচাত্তরে জাতির জনক হত্যার পরবর্তী পাকিস্তানের দোসরদের ক্ষমতা ভাগাভাগি এবং পর্দার আড়ালের ঘটনা তুলে ধরা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নিজস্ব অর্থায়নে এ মঞ্চনাটকটি নির্মাণ করে। ৪৩ মিনিটের নাটকের শুরুর উপস্থাপনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাজু খাদেম, ফজলুর রহমান বাবু, চিত্রনায়ক রিয়াজসহ অনেকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মান্নান হীরা।
নাটকটি প্রচারের পর থেকেই তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তাদের দাবি, এই নাটকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাটো করতে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
কেআই/এমজেএফ
