ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যশোরে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
যশোরে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের যাবজ্জীবন

যশোর: যশোরে প্রতিবন্ধী রত্না খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় হাবিবুর রহমান নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এই মামলার অপর আসামি মন্টুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টিএম মুসা এই রায় দেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান খাঁ সদর উপজেলার সালতা গ্রামের আবুল কাশেম খাঁর ছেলে।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার সালতা গ্রামের শহর আলীর মেয়ে রত্না খাতুন বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন। প্রতিবেশী আকবর আলী মাস্টারের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাধে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয়। ২০১৭ সালের ২৮ মে রত্নাকে এলাকার বুড়ো মার মাজারের দিকে ডেকে নিয়ে যানd হাবিবুর ও মন্টু।  

তখন খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি দেখে ওই দুইজনের কাছে জানতে চান ‘রত্নাকে তোমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?’ জবাবে হাবিবুর বলেন ‘এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে তোমার সঙ্গে কথা বলবো। ’ খাইরুল ইসলাম বিষয়টি রত্নার বাবাকে জানালে তিনি রত্নাকে খুঁজে না পেয়ে হাবিবুর ও মন্টুকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাননি। ৩১ মে এলাকার মেজের মোল্যার মাজারের পাশে রত্নার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রত্নার বাবা শহর আলী বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান ও মন্টুর বিরুদ্ধে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।  

মামলাটি আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এফআইআর করে। তদন্ত শেষে হাবিবুর রহমান ও মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার আসামি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারক।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
ইউজি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।