ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাক্ষ্য দিলেন নৈশ প্রহরী, অরিত্রীর মাকে জেরা করবে আসামিপক্ষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
সাক্ষ্য দিলেন নৈশ প্রহরী, অরিত্রীর মাকে জেরা করবে আসামিপক্ষ

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা প্ররোচনার মামলায় সাক্ষ্য দেন অরিত্রীর বাড়ির নৈশপ্রহরী সুখদেব। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন নৈশপ্রহরী সুখদেব। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবিনা আক্তার দিপা এসব তথ্য জানান।

এছাড়া গত ২৩ আগস্ট সাক্ষ্য দেওয়া অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী সাক্ষ্য দিলেও আসামিপক্ষ তাকে জেরা করতে পারেননি। তাই তাকে জেরার আবেদন করে আসামিপক্ষ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম আগামী ৪ নভেম্বর অরিত্রীর মাকে জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

গত ২৩ আগস্ট আদালতে সাক্ষ্য দেন অরিত্রীর মা। ওইদিনই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

গত বছর ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  

গত বছর ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৫ নভেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।