ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জাহালমকাণ্ড: ক্ষতিপূরণ নিয়ে রুলের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
জাহালমকাণ্ড: ক্ষতিপূরণ নিয়ে রুলের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর ফাইল ছবি

ঢাকা: পাটকল শ্রমিক জাহালমকে আসামি করে ঋণ জালিয়াতির ২৬ মামলায় জড়ানো নিয়ে ক্ষতিপূরণ বিষয়ক রুলের ওপর রায় ঘোষণা করা হবে আগামী মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর)।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের ২৯ সেপ্টেম্বরের কার্যতালিকায় রায়ের জন্য ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

এই মামলাসহ ৫টি মামলার রায়ের জন্য বেঞ্চটি গঠন করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত বেঞ্চটি বসবেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আজকে কজলিস্ট দেখলাম। মামলাটি রায়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর এক নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়।

শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।  ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন।

১২ ফেব্রুয়ারি খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, জাহালমের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত রায়ের জন্য সিএভি রেখেছেন। অর্থাৎ যে কোনো দিন এ রায় ঘোষণা করা হবে।

গত বছরের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত।

পরে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছেন। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করে।

পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফ আই আর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সকল ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালমকাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

জাহালমকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্যার, আমি জাহালম। আমি আবু সালেক না… আমি নির্দোষ। ’ আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লোকটির বয়স ৩০-৩২ বছরের বেশি না। পরনে লুঙ্গি আর শার্ট। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারকের উদ্দেশে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘আমি আবু সালেক না। ’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
ইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।