ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নুরদের মামলার প্রতিবেদন ১৩ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
নুরদের মামলার প্রতিবেদন ১৩ অক্টোবর নুরুল হক নুর।

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের নামে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা এজাহার গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নূর আলমকে এই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

 

মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এছাড়া তিনিই লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আগের মামলাটিও করেছেন বলে জানা গেছে।

এ মামলায়ও ওই ছয়জনকেই পৃথক পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলাটিতে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে। তবে, এই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে।  

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গড়ে ওঠা এই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া অন্য আসামিরাও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।  

জানা গেছে, মামলাটিতে দুইটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

মামলার ছয় আসামি হলেন-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) ও ঢাবির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহহিল কাফি (২৩)।

মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ ওই ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নামেন তারা। পরে নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানায়, বিক্ষোভ মিছিলের সময় বাধা দিলে তারাও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ কারণেই তাদের আটক করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।