ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বদি হত্যা মামলা: মেয়রসহ ১১ আসামিই খালাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
বদি হত্যা মামলা: মেয়রসহ ১১ আসামিই খালাস

মেহেরপুর: আদালত প্রাঙ্গনেই অঝরে কাঁদলেন। দোয়া করলেন প্রিয় গাংনী পৌরবাসীর জন্য।

রায়কে ঘিরে যারা মেয়র আশরাফুল ইসলামের জন্য সারারাত জেগে নফল এবাদত করেছেন এবং রোজা রেখেছেন তাদের জন্য।

গাংনীর আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা বদিউজ্জামান বদি গুম মামলায় প্রধান আসামি পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ আসামি খালাস পাওয়ার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই কাঁদলেন মেয়র আশরাফুল ইসলাম। এসময় তার ভক্তরাও কাঁদলেন তার সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা বদিউজ্জামান বদি হত্যা ও গুম মামলা দীর্ঘ ৮ বছর পর মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস মামলার ১১ আসামি সবাইকে বেকসুর খালাস দেন। এসময় সব আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

খালাশপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী পৌর মেয়র ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, তার ভাই ঠিকাদার আনারুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, মেয়র আশরাফুল ইসলামের ব্যক্তিগত প্রহরি বকুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, বন্ধু বাবুল আক্তার, নাইজু হোসেন, রানা আহমেদ, মোজাম কসাই, খোকন হোসেন ও মিলন হোসেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে গাংনী পৌর এলাকার পূর্ব মালশাদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদিকে গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় বদিউজ্জামান বদির বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম তার তিন ভাইসহ ১১ জনকে আসামি করে ৩২৫/৩৬৪ ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা করেন।

তৎকালীন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা দীর্ঘ তদন্ত পরে চার্জশিট দাখিল করেন বিজ্ঞ আদালতে। দীর্ঘ ৮ বছর পর রায় দেন বিজ্ঞ বিচারক।

রাস্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুধীর কুমার দাশ, মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মতিন ও রাশেদুল ইসলাম জুয়েল।

রায় প্রকাশের পর পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। সত্যের জয় হয়েছে। আমি পাপ করলে আল্লাহ্তালার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতাম। এই মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস পেতো না। আদালাতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র বলেন আমি সর্বদাই আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। শেখ হাসিনার কারণেই এই ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

মেহেরপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও মেহেরপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনসহ আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।