ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সেই সালাম ঢালী নিয়ে রিট শুনানি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
সেই সালাম ঢালী নিয়ে রিট শুনানি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে

ঢাকা: সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সঙ্গে নামের কিছুটা মিল থাকায় জেল খাটা খুলনার সালাম ঢালীকে গ্রেফতারের বৈধতা নিয়ে শুনানি হবে হাইকোর্টের নিয়মিত (কোর্ট খোলার পর) বেঞ্চে।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) আদালতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও শাহিনুজ্জামান।  

ইয়াদিয়া জামান বলেন, রিটটি আজ বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার‌্যতালিকাভূক্ত ছিলো।

এরমধ্যে সালাম ঢালী মুক্তি পেয়ে গেলো। তাই আমরা বলেছি তাকে অবৈধ গ্রেফতার, জেল খাটার বৈধতা নিয়ে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করবো। এরপর আদালত তাতে সায় দেন।

শাহীনুজ্জামান বলেন, জেল খাটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও তখন উপস্থাপন করা হবে।  

গত রোববার (৫ জুলাই) মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সালাম ঢালী এ রিট করেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির সালাম ঢালীর দ্রুত মুক্তি চেয়ে পৃথক একটি রিট করেছিলেন।

এর মধ্যে ৬ জুলাই (সোমবার) তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন বাগেরহাটের আদালত। পরে সন্ধ্যা তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

গত ০১ জুলাই ‘আসামি না হয়েও জেল খাটছেন খুলনার সালাম ঢালী’ শীর্ষক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করে।

শিশির মনির দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন।

তিনি জনান, শফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুস সালামের পরিবর্তে জেল খাটছেন মফিজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে মো. সালাম ঢালী। গত ০৩ জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘নামের মিল, আসল আসামির পরিবর্তে জেল খাটছেন মুদি দোকানি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনা আমাদের নজরে আসার পর যোগাযোগ করে সব তথ্য সংগ্রহ করি এবং মামলার সব ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ করি। আমি সন্তুষ্ট হই যে, সালাম ঢালী প্রকৃত আসামি নয়। তাই রোববার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করি। রিটে সালাম ঢালীকে দ্রুত মুক্তির আবেদন করি। সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাই। একইসঙ্গে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

বাংলানিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে, আসামির নাম, বাবার নামের এবং ঠিকানার একাংশ নামে মিল থাকায় নিরপরাধ মো. সালাম ঢালী (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রকৃত আসামির নাম মো. আব্দুস সালাম। মূল আসামিকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অনুসন্ধানীতে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ রাত ১২টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার মণ্ডল সদর থানা এলাকার ৬০/১৮, শের-এ-বাংলা রোডের বাসিন্দা মো. সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করেন। সালাম ঢালীর বাবার নাম মফিজ উদ্দিন ঢালী। মো. সালাম ঢালী এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রায় চার মাস ধরে নিরপরাধ মুদি দোকানি মো. সালাম ঢালী বাগেরহাটের কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।

অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধী মো. আব্দুস সালাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।

মূলত নিজের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানায় একাংশ মিল থাকার সুযোগ নিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার বিবরণে উল্লেখিত প্রকৃত আসামির নাম, বাবার নাম বা ঠিকানা কোনোটাতেই পুরোপুরি মিল নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
ইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ