ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট ৩০ জুন পর্যন্ত ভার্চ্যুয়ালি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট ৩০ জুন পর্যন্ত ভার্চ্যুয়ালি

ঢাকা: ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস রোগ এর সংক্রমণ রোধকল্পে ও শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর‌্যন্ত ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের সদয় অনুমোদনক্রমে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান মহোদয়কে মনোনয়নপূর্বক গত ৩১ মে তারিখের ৫৭৬/২০২০ এসসি(এডি) স্মারকমূলে ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।

‘বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান মহোদয় আগামী ১৬, ২৩ ও ৩০ জুন তারিখে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে শুনানি গ্রহণ করবেন।

মঙ্গলবার (৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এজন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন ও ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওই দিন প্রথমবারের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।  

এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর দু’দিন পর গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।  

অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাই থাকুক না কেন, যেকোনো আদালত এ অধ্যাদেশের ধারা ৫ এর অধীন জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষরা বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে যেকোনো মামলার বিচার বা বিচারিক অনুসন্ধান বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি বা সাক্ষ্যগ্রহণ বা যুক্ততর্ক গ্রহণ বা আদেশ বা রায় দিতে পারবেন। ’

অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা ক্ষেত্রমতে দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

কোনো ব্যক্তির ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনের অধীন আদালতে তার সশরীরে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শর্ত পূরণ হয়েছে বলে গণ্য হবে।

পরে ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি চেম্বার কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনেও সাধারণ ছুটি ছিলো। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়।  

সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়‍াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর বাড়ায়নি। তবে ৩০ মে কোর্ট না খুলে ভার্চ্যুয়াল আদালত ১৫ জুন পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
ইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।