ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘কারাগার থেকে আসামির ভার্চ্যুয়ালি রিমান্ড শুনানি করা যাবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
‘কারাগার থেকে আসামির ভার্চ্যুয়ালি রিমান্ড শুনানি করা যাবে’

ঢাকা: ফৌজদারি কোনো মামলায় জেলখানায় থাকা আসামির ভার্চ্যুয়ালি রিমান্ড শুনানি করা যাবে বলে অতিরিক্ত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

তবে এ ক্ষেত্রে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে ভার্চ্যুয়ালি স্বচক্ষে দেখতে হবে।  

রোববার (০৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০ এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে এবং করোনা ভাইরাস রোধকল্পে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণার্থে এবং শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক পূর্বের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিমূলে প্রচারিত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে রিমান্ডের বিষয়ে বলা হয়, ফৌজদারি কোনো মামলায় আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেল খানায় ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের লিংক প্রেরণ করে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে স্বচক্ষে দেখে শুনানি করা সম্ভব হলে রিমান্ড শুনানি করা যাবে।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের ও আপিল দায়েরের বিষয়ে বলা হয়, নেগুসিয়াবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১ এর অধীন মামলা দায়েরসহ যেসব দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে আইনে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে এবং যেসব মামলা বা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে লিমিটেশন অ্যাক্টের ৫ ধারার বিধান প্রযোজ্য নয়, সেসব মামলা বা আপিলের ফাইলিং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট তা গ্রহণ করে শুনানি/কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এর ২০০ ধারার অধীন জবানবন্দি গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সময়ে একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন।

গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাই থাকুক না কেন, যেকোনো আদালত এ অধ্যাদেশের ধারা ৫ এর অধীন জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষরা বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে যেকোনো মামলার বিচার বা বিচারিক অনুসন্ধান বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি বা সাক্ষ্যগ্রহণ বা যুক্ততর্ক গ্রহণ বা আদেশ বা রায় দিতে পারবে।

অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা ক্ষেত্রমতে দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

কোনো ব্যক্তির ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনের অধীন আদালতে তার সশরীরে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শর্ত পূরণ হয়েছে বলে গণ্য হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
ইএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।