ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বুড়িগঙ্গার তীরের ১৮ প্রতিষ্ঠান বন্ধের তথ্য হাইকোর্টে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
বুড়িগঙ্গার তীরের ১৮ প্রতিষ্ঠান বন্ধের তথ্য হাইকোর্টে

ঢাকা: রাজধানীর সদরঘাট থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের উত্তর পাড়ে গড়ে ওঠা ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সেবা (বিদ্যুৎ) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। এদিকে ওয়াসার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, বুড়িগঙ্গা নদীতে যে ৬৭টি প্রধান আউটলেট পতিত হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা ওয়াসার ১৬টি।

 

তবে এর আগে গত ১৮ জুন ওয়াসার দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ লাইন নেই। ওয়াসার এই দুই ধরনের প্রতিবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে ১৭ নভেম্বর এক আদেশে হাইকোর্ট ২৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় এ প্রতিষ্ঠান বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ১৫ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওয়াসার এমডিকে শো’কজ করে আদেশের জন্য ২ ডিসেম্বর দিন রাখেন।

এর ধারবাহিকতায় সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর জানায় তারা ১৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।

অপরদিকে ওয়াসা জানায় তাদের ১৬টি আউটলেট বুড়িগঙ্গায় পতিত রয়েছে।

এরপর বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতির মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।

আদালতে আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আমাতুল করিম। ওয়াসার পক্ষে লিখিত জবাব দাখিল করেন ব্যারিস্টার এ এম মাছুম। তবে তিনি আদালতে না থাকায় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন তারই জুনিয়র অ্যাডভোকেট নাহিয়ান-ইবনে-সুবহান।

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই রিট করা হয়েছিলো। সে রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের শুরুতে এ রায় নিয়ে এইচআরপিবি একটি সম্পূরক আবেদন করেন।

ওই আবেদনের পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনস্বার্থে করা এক রিট মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে ২০১১ সালে আদালত অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বুড়িগঙ্গার ভেতরে যেসব সুয়ারেজ লাইন আছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন আছে সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীরে যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সে জন্যে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।  

তিনি আরও জানান, কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এই নির্দেশনাগুলো পুরোপুরি পালন না করায় এ সম্পূরক আবেদন করা হয়েছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।