ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সারাদেশে হচ্ছে ১৬৪ ই-কোর্ট রুম, ৭১০ ডিজিটালাইজড মোবাইল কোর্ট

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
সারাদেশে হচ্ছে ১৬৪ ই-কোর্ট রুম, ৭১০ ডিজিটালাইজড মোবাইল কোর্ট

সরকারি সেবাগুলোকে ই-সার্ভিসে রুপান্তরের অংশ হিসেবে সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ৬৪টি জেলায় ১৬৪টি ই-কোর্ট রুম স্থাপন ও ৭১০টি মোবাইল কোর্ট ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি নির্বাহী কোর্টের উন্নয়ন কার্যক্রমও চলমান থাকবে।

ঢাকা: সরকারি সেবাগুলোকে ই-সার্ভিসে রুপান্তরের অংশ হিসেবে সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ৬৪টি জেলায় ১৬৪টি ই-কোর্ট রুম স্থাপন ও ৭১০টি মোবাইল কোর্ট ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

পাশাপাশি নির্বাহী কোর্টের উন্নয়ন কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
 
ফলে সহজে ও স্বল্প সময়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করা যাবে।  

ই-কোর্ট রুম স্থাপন ও মোবাইল কোর্ট ডিজিটালাইজেশন করতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কোর্টের স্টাফদের প্রশিক্ষণ ও সফটওয়্যার সরবরাহ করবে সরকারের এ-টুআই (একসেস টু ইনফরমেশন)। নির্বাহী কোর্ট ও মোবাইল কোর্ট ডিজিটালাইজেশনে সহায়তা করবে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
 
বিসিসি সূত্র জানায়, ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে ই-এক্সিকিউটিভ ও মোবাইল কোর্ট প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায় এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। চলতি সময় থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ ৭৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।  
 
আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় নির্বাহী কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সাপোর্ট সার্ভিস সংগ্রহ ও সরবরাহ করা হবে। সকল জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ডিজিটাল ডিভাইস ও উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। বিভিন্ন ধরনের মেশিনারিজ, কম্পিউটার, এক্সেসরিজ কেনাসহ নির্বাহী কোর্ট ও মোবাইল কোর্টের জন্য বায়োমেট্রিক ডিভাইসও থাকবে।  
 
ডিজিটাল সাক্ষ্যগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কোর্ট স্টাফদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা এবং সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

বিসিসি’র সিস্টেমস অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ১৬৪টি ই-কোর্ট রুম স্থাপনে আমরা কম্পিউটার, প্রিন্টার, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে নানা ধরনের হার্ডওয়্যার ও প্রযুক্তিগত সুবিধা সরবরাহ করবো’।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।