ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আহসান উল্লাহ হত্যা, আপিল মামলার রায় ১৫ জুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৬
আহসান উল্লাহ হত্যা, আপিল মামলার রায় ১৫ জুন

ঢাকা: গাজীপুরের জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ঘটনায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার রায়ের দিন আগামী ১৫ জুন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

 

বুধবার (০৮ জুন) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মনজু নাজনিন।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কয়েকজন আইনজীবী।
 
বিচার প্রক্রিয়া
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিচারিক আদালত বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন,  ১৭ জন কারাগারে, বাকি ৯ জন পলাতক রয়েছে। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হয়।

গত ২১ জানুয়ারি থেকে এ আপিল মামলার শুনানি শুরু হয়।

এক নজরে আহসান উল্লাহ মাস্টার
১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন আহসান উল্লাহ মাস্টার। ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাস করে তৎকালীন কায়েদে আযম কলেজে (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। ১৯৭০ সালে ডিগ্রি পাস করার পর তিনি টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
 
এর আগে ছয় দফা ও ১১ দফাসহ বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
 
১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে দু’বার পুবাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আহসান উল্লাহ মাস্টার। পরে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
 
জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ৭ মে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন আহসানউল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই অভিযোগপত্র দায়ের করে পুলিশ।

ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেন দুই আসামিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৬
ইএস/জিসিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।