ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জয়কে হত্যাচেষ্টা: আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
জয়কে হত্যাচেষ্টা: আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন তিনি।

শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।  

একইসঙ্গে এ মামলায় সাজা বাতিলের আবেদন করেন তিনি। এ বিষয়ে পরে শুনানি হবে বলে জানান তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।  

গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় শফিক রেহমানের সাজা আপিলের শর্তে এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের জন্য প্রয়োজনীয় নকল সরবরাহের আবেদন করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের (রিকল) আবেদন করেন তিনি। আদালত তার সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।  

এ মামলায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর আপিল করে ৩ অক্টোবর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান তিনি।  

গত বছরের ১৭ আগস্ট এ মামলায় মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন এ আদালতের সাবেক বিচারক আসাদুজ্জামান নূর। তাদের পৃথক দুটি অভিযোগে এ দণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

রায়ের সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলায় ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।  

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এ মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল এ মামলায় শফিক রেহমান গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।