ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আ. লীগ নেতা বাবুল হত্যা: রিমান্ড শেষে মেয়র আক্কাস কারাগারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
আ. লীগ নেতা বাবুল হত্যা: রিমান্ড শেষে মেয়র আক্কাস কারাগারে

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র আক্কাস আলীকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঘা থানার পুলুশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোয়েব খান জানান, ৫ জুলাই আক্কাসকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

পরদিন রাজশাহীতে আনার পর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ৮ জুলাই শুনানি শেষে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক হাদিউজ্জামান এই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে আজ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া গেছে সেই সম্পর্কে কিছু জানাননি তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ২২ জুন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীর দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে চলা মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মেয়রের দুর্নীতি ছাড়াও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও উপজেলা দলিল লেখক সমিতির বাড়তি টাকা আদায়কে সমর্থন দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল। এ ঘটনায় থানা ও আদালতে এখন পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা হয়েছে।

ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। জরুরি অস্ত্রোপচারের পর তাকে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুন বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বাঘা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে মেয়র আক্কাসকে প্রধান করে ৩২ জন নামীয়সহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া এ ঘটনায় আদালতেও মামলা হয়েছে। স্থানীয় আবুল কালাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ২৭ জুন রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ ও দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।

ওই মামলায় আসামি হিসেবে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমানসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।