ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাংবাদিক কনক, আইনজীবী মহসীনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
সাংবাদিক কনক, আইনজীবী মহসীনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন

ঢাকা: মানবতারিবোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে চলমান একটি মামলার প্রেক্ষাপট নিয়ে টকশোতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে। শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এ আবেদন করেন।

বুধবার (২৬ জুন) আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। আদালত আগামী ৪ জুলাই শুনানির জন্য আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।

একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন আল-বদর বাহিনীর হয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৯ সালে মঈনুদ্দীনের ফৌজদারি অপরাধের বিবরণসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল সেই প্রতিবেদন তখনকার টুইটার (বর্তমানে এক্স) হ্যান্ডলে শেয়ার করেন।

তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিরুদ্ধে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন মঈনুদ্দীন। মানহানির জন্য ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয় এ মামলায়।

কিন্তু দেশটির হাইকোর্ট সেই মামলা বাতিল করে দিয়েছিলেন। এ বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে মঈনুদ্দীনের আপিল গ্রহণ করে গত ২০ জুন রায় দেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ মঈনুদ্দীনের করা মানহানি মামলার বিচার চলবে।

এ রায়ের পর গত ২১ জুন সাংবাদিক কনক সারোয়র তার অনলাইন টিভিতে টকশো করেন। সে টকশোতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদ।

তাপস কান্তি বল জানান, ইংল্যান্ড সরকার ও চৌধুরী মঈনুদ্দীনের মধ্যে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলায় রায় হয়েছে। সেই রায় নিয়ে ২১ জুন কনক সারোয়ার অনলাইনে একটি টকশো করেন। সেখানে অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ। সেই টকশোতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ তথা উচ্চ আদালত নিয়ে অবমাননাকর কথাবার্তা বলা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে একটি দরখাস্ত চেম্বার আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। চেম্বার জজ বিষয়টি বিবেচনার জন্য ৪ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।