ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘লাভের টাকা ড. ইউনূসের পকেটে ঢোকে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
‘লাভের টাকা ড. ইউনূসের পকেটে ঢোকে না’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো কিছুই নিজের আর্থিক লাভের জন্য করেননি। অসংখ্য অবদান রাখা এই নিঃস্বার্থ মানুষটিকে মিথ্যা অপরাধে দাঁড়াতে হচ্ছে বিচারের কাঠগড়ায়।

’ শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এই বক্তব্য রাখেন ইউনূসসহ মামলার আরও তিন বিবাদী।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে হাজির হন ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী। এ সময় তাদের পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনে ২২ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য আদালতে দাখিল করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।  

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের এই তিন সহযোগী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকসহ ৫০টির অধিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কোনো কোম্পানিতে তার নিজস্ব কোনো শেয়ার নেই। সুতরাং কোনো লভ্যাংশ বা লাভের টাকা ওনার পকেটে ঢোকে না। যখনই দেশের গরিবদের একটা সামাজিক সমস্যা দেখেছেন, সেটার মাধ্যমেই একটা বিজনেস মডেল বানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা সমস্যার জন্য বানিয়েছেন গ্রামীণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য বানিয়েছেন গ্রামীণ কল্যাণ। এমন ব্যবসার ধারণা বা মডেল তৈরির জন্য যথেষ্ট সময় দেন কিন্তু মালিকানায় কখনো নিজেকে জড়াননি। দেশে-বিদেশে কোথাও নিজের নামে কোনো জায়গা জমি গাড়ি-বাড়ি নেই তার।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেখান যিনি এতোগুলো ইম্প্যাক্ট তৈরি করেছেন। এতোগুলো বিদেশি ব্র্যান্ড কোম্পানিকে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাংলাদেশে এনেছেন। এত এত মানবসম্পদ তৈরি করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যাসহ এই মামলাটি কেন চলতে পারে না, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তাই ড. ইউনূসসহ অন্যদের মামলা থেকে অব্যাহতিও প্রার্থনা করা হয়।  

এর আগে গত ২২ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।  

গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
কেআই/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।