ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূ খুন: শ্বশুর-দেবরসহ রিমান্ডে ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূ খুন: শ্বশুর-দেবরসহ রিমান্ডে ৩

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানে আফরোজা বেগম (৩৬) নামে কানাডাপ্রবাসী এক নারীকে হত্যা মামলায় তার শ্বশুর-দেবরসহ তিনজনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক শাকিল আহাম্মেদ এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন- আফরোজার শ্বশুর সামসুদ্দিন আহমেদ, দেবর সজিব আলম ও তার স্ত্রী তাহমিনা বাশার। মামলার অপর আসামি আফরোজার খালা শাশুড়ি পান্না চৌধুরীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিনজনের একদিনের রিমান্ড এবং অপরজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সিএমএম আদালতে দক্ষিণখান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ফরিদ মিয়া এসব তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, আশরাফুল-আফরোজা দম্পতি কানাডা থাকতেন। গত এপ্রিলে তারা দেশে আসেন। গত ২৬ মে আশরাফুল নিজেই তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে আফরোজার পরনের শাড়ি দিয়ে তাকে পেঁচিয়ে বাসার পেছনে মাটিচাপা দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১ জুন) নিহতের ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহতের স্বামী কানাডাপ্রবাসী আশরাফুল আলমকে প্রধান করে মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে আফরোজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

হত্যার কারণ সম্পর্কে গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশকে জানিয়েছে, বিয়েতে এক কোটি টাকা কাবিন লেখাতে বাধ্য করায় আশরাফুল তার স্ত্রী আফরোজার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ নিয়ে ঘটনার দিন দক্ষিণখানের দক্ষিণপাড়ার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। একপর্যায়ে আশরাফুল বটি দিয়ে আফরোজার মাথায় কোপ দেন। এতে তার মৃত্যু হয়। এরপর তার মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়।

তারপর আশরাফুল তড়িঘড়ি করে কানাডা চলে যান। আফরোজার পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ নেন। কিন্তু শ্বশুরপক্ষ কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। পরে গত ২৯ মে আফরোজার ভাই আরিফুল ইসলাম দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সূত্র ধরেই তার মরদেহের সন্ধান পায় পুলিশ।
আশরাফুল ও আফরোজার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের ঘরে তাদের দুজনেরই সন্তান আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।