ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাইবান্ধার ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
গাইবান্ধার ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ

ঢাকা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের গেজেটভুক্ত ২২ জন নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

ওই ২২ জন নৌ-কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের দায়ের করা রিটে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু।

পরে তৌফিক ইনাম টিপু জানান, ২০০৩ সালে সরকার গঠিত সাত সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করে। উক্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরে ২০০৫ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রিট আবেদনকারী ২২ জন নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হিসেবে গেজেটভুক্ত করে এবং স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রীয় ভাতা দিয়ে আসছে।  

কিন্তু ওই নৌ-কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের আবারো যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জন রিট আবেদনকারীসহ ২৪ জন নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল (৩৫তম সভায়) জামুকা একটি সিদ্ধান্ত নেয়।

পরে ২২ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আবেদনকারীসহ ২৪ নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।

ওই রুলের শুনানি শেষে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫ তম সভার সংশ্লিষ্ট ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

তৌফিক ইনাম টিপু জানান, হাইকোর্ট এই রায়ে উল্লেখ করেন- গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাব-কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তাদের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার জামুকার নেই। এটি সরকার ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।

রিট আবেদনকারীরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রামপুরা গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান সরকার, রামচন্দ্রপুরের মো. বাহার উদ্দিন, রামপুরার মো. এন্তাজ আলী, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. সাইদুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ শেখ, মো. ফয়জার রহমান, মো. শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী সকিনা বেগম, জিন্নাত আলীর স্ত্রী মজিদা বেগম, আফতাব উদ্দিনের ছেলে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম, করিম বক্সের চেলে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগম, আমিনুল ইসলাম, বিনয় কুমার সরকার, আব্দুল গাফফারের স্ত্রী হামিদা বেগম, আশরাফুল আজাদ, গোলাম হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, শামসুল হক, মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো.জুয়েল সরকার, বজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন প্রধানের স্ত্রী নুর বেগম ও মো.হারুন অর রশিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।