ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

ঢাকা: টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিবাদীদের একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।  

গত ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল হোসেন এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রিটের আগে ৩১ অক্টোবর তোফায়েল হোসেন এ বিষয়ে দুদক ও জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন দেন। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি রিট করেন।

তোফায়েল হোসেনের আবেদনে বলা হয়, কিছু বিপথগামী শিক্ষক এবং অধ্যক্ষের কারণে কলেজ ফান্ডের টাকা এবং শিক্ষার্থীদের প্রদেয় টাকা (বেতন, পরীক্ষার ফিস ইত্যাদি) ব্যাপকভাবে তছরুপ করা হয়। যে কারণে এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুল বাতেন তৎকালীন অধ্যক্ষকে অপসারিত করে কলেজের এক সৎ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। তার দক্ষ ব্যবস্থপনার কারণে ফান্ডের প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা হয় এবং অভিভাবকসহ এলাকার মানুষের কোনো অভিযোগ থাকেনি।

কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ লোকমান হাসান বিভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে কলেজের নিয়ম ভঙ্গ করে স্বাক্ষর জাল করে নিজের দুই আপন মামা এবং নিজের স্ত্রীকে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী হিসাবে দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নিজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। এ পরীক্ষায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ৩জন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং একজন ডাক্তারসহ ৬জন ব্যক্তিত স্বাক্ষর ছাড়াই উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা অনুমোদিত হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান অধ্যক্ষ উক্ত ৬ জনের মধ্যে একজনের স্বাক্ষর নিজে বলে জালিয়াতি করে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে কলেজ সভাপতি নিয়ম অনুযায়ী সভা করতে গেলে উক্ত অধ্যক্ষ কলেজ রেজুলেশন বহি তার বাসায় নিয়ে রেখে দেন, যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।

আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়, যে বিষয়টি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত কলেজের ছাত্র/ছাত্রী তথা এলাকাবাসীর মুখে মুখে উচ্চারিত তা হলো- এই বর্তমান অধ্যক্ষ মো. লোকমান হাসান ৫৪ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার নয়শত চল্লিশ টাকা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির অনুমতি ছাড়া একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন প্রকার খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। যা বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
ইএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।