ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

লবণের হোটেল!

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৫
লবণের হোটেল!

ঢাকা: খাবার সুস্বাদু করার খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান লবণ। শরীরের জন্যও লবণ অত্যন্ত দরকারি।

আর কী কী কাজে লবণ লাগতে পারে বলতে পারো?

যদি বলি, একটি হোটেল বানানোর জন্য লবণ দরকার হয়! আমাকে পাগলই ভেবে ফেলবে নিশ্চিত। আমি কিন্তু মোটেও ভুল বলিনি। লবণ দিয়ে সত্যিই একটি আস্ত হোটেল তৈরি করা যায়। এমন হোটেল সত্যি সত্যি রয়েছেও।

undefined


বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ থেকে ৩শ ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সালার দি উয়ুনি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সল্ট ফ্ল্যাট বা লবণের ভূমি। এখানেই রয়েছে ‘প্যালেসিও দি সল’ নামে লবণের হোটেল। প্যালেসিও দি সল অর্থ লবণের প্রাসাদ। নাম শুনেই বুঝতে পারছো, প্রাসাদ না হলেও হোটেলটি লবণ দিয়েই তৈরি।

লবণের হোটেল কেন তৈরি করা হয়েছে জানো? সালার দি উয়ুনি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্থান। এখানে প্রচুর পর্যটক আসেন। তাদের বিশ্রামের কোনো ব্যবস্থা এখানে ছিল না। সেজন্য পর্যটকদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি হোটেল নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সালার দি উয়ুনিতে হোটেল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নেই। তখন একটি অন্য বুদ্ধি বের করা হলো। এখানে যেহেতু লবণের ছড়াছড়ি, তাই লবণ দিয়েই তৈরি করে ফেলা হলো একটি আস্ত হোটেল।  

undefined


১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে সালার দি উয়ুনিতে নির্মিত হয় প্রথম লবণের হোটেল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে ২০০২ সালে হোটেলটি ভেঙে ফেলতে হয়।

এরপর ২০০৭ সালে পুনরায় আরেকটি লবণের হোটেল নির্মাণ করা হয়, যার নাম ‘প্যালেসিও দি সল’। ৩৫ সেন্টিমিটারের প্রায় এক মিলিয়ন লবণের ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয় হোটেলটি। হোটেলের মেঝে, দেয়াল, ছাদ, এমনকি আসবাবপত্রও লবণ দিয়ে তৈরি।

undefined


চাইলে একবার ঘুরে আসতে পারো অদ্ভুত এ হোটেল থেকে। তবে এ হোটেলে থাকতে হলে বা ঢুকতে হলে একটি শর্ত মানতে হয়। ভুলেও যেন হোটেলের কোনো কিছু চুষে দেখতে যেও না। পুরোটাই লবণের তৈরি কিনা, তাই হোটেল ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ এমন নিয়ম জারি করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৫
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।