ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

জামাতে নামাজ ধরতে দূর থেকে নিয়ত বেঁধে ফেলার বিধান

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৯
জামাতে নামাজ ধরতে দূর থেকে নিয়ত বেঁধে ফেলার বিধান

প্রশ্ন: জামাতে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে এসে দেখি, ইমাম সাহেব রুকুতে। আমি ‍মুসল্লিদের কাতারে পৌঁছার আগেই ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠে যাওয়ার আশংকা ছিল। তাই রাকাতটি পাওয়ার জন্য কাতার থেকে দূরে থাকতেই নামাজের নিয়ত বেঁধে ফেলি এবং ইমামের একতেদা করি। এরপর এক রোকন পরিমাণ থেমে থেমে দুই-এক কদম করে কাতারে গিয়ে মিলিত হই। এখন প্রশ্ন হলো, নামাজের মধ্যে এভাবে হাঁটার কারণে আমার নামাজ কি ভঙ্গ হয়ে গেছে?

উত্তর: এক্ষেত্রে আপনার নামাজ ভাঙেনি। যেহেতু আপনি এক-দুই পা করে চলার পর এক রুকন পরিমাণ থেমে সামনে অগ্রসর হয়েছেন।

আপনার নামাজ আদায় সম্পন্ন হয়েছে।

তবে দূর থেকে নামাজ শুরু হতে দেখলেও এমনটি করা ঠিক নয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, একেবারে কাতারের সঙ্গে মিলে দাঁড়ানো। তাড়াহুড়া করে পেছনে না দাঁড়ানো। হাদিস শরিফে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘জামাত শুরু হয়ে গেলে তোমরা তাড়াহুড়া করে এসো না। বরং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে আসো এবং শান্ত থাকো। অতঃপর যত রাকাত পাবে, তা পড়ে নেবে। আর যা ছুটে যাবে, তা পূর্ণ করে দেবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ৯০৮)

আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি রাসুল (সা.)-এর কাছে এমন সময় পৌঁছলেন, যখন রাসুল (সা.) রুকুতে। তখন তিনি কাতারে পৌঁছার আগেই (তাকবিরে তাহরিমা বেঁধে) রুকুতে চলে গেলেন। এ ঘটনা রাসুল (সা.) এর কাছে ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমার আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে দিন। তবে পরবর্তী সময় থেকে আর এমন করবে না। (বুখারি, হাদিস ৭৮৩)

সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে ১/৫১২; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/১৫৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/১৩১; শরহুল মুনয়া, পৃষ্ঠা: ৪৫০; আলবাহরুর রায়েক: ২/১৩; আদ্দুররুল মুখতার ১/৬২৭

প্রশ্নটি করেছেন: শাফায়াত মাহবুব, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ

ইসলাম বিভাগে আপনিও প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন ও লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।