ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

শেষদিনের মতো চলছে হজভিসা সংগ্রহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
শেষদিনের মতো চলছে হজভিসা সংগ্রহ হাব মহাসচিব শাহদাত হোসেন তসলিম-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: হজ পালনের উদ্দেশে গমনেচ্ছুদের শেষদিনের মতো ভিসা সংগ্রহ চলছে। হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মতে, বৃহস্পতিবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে বাকি থাকা ভিসা সংগ্রহের কাজ শেষ হবে এবং নির্বিঘ্নে সব হজযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন। সেইসঙ্গে বিমানের টিকিটের বা ফ্লাইটের কোনো অভাব নেই।

হজযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেছে, ভোগান্তিহীনভাবেই তাদের ভিসার সব কাজ শেষ হয়েছে। এমনকি হজক্যাম্পেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।



হজক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইটে সর্বমোট ১ হাজার ৮৪২ জন যাত্রী হজে যাচ্ছে। আর সৌদি এয়ারলাইন্সের চারটি ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৯১টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৯৯ হাজার ৩৬৩ জন যাত্রী সৌদি গেছেন, বাকি থাকছে ২৭ হাজার ৪৩৫ জন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কোনো ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে না। যাত্রী পরিপূর্ণ আছে।  

এদিকে হাব মহাসচিব শাহদাত হোসেন তসলিম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় বিড়ম্বনাহীনভাবে হজযাত্রার ২৭ তম দিন পার হচ্ছে। ১৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া হজফ্লাইট আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সব ভিসা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রায় ৩শ’র মত ভিসা বাকি আছে যা সন্ধ্যার মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। ১ লাখ ২ হাজার যাত্রী ইতোমধ্যে সৌদি গেছেন। আর বাকি যে হজযাত্রীরা রয়েছেন তাদের জন্য যথেষ্ট ফ্লাইটও রয়েছে। এ বছর হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে আমাদের আর কোনো সমস্যা হবে না। গত বছর আমাদের একটা সমস্যা ছিল যে, ভিসা ছিল কিন্তু ফ্লাইট ছিল না। এবার সেটা নেই। বরং এখনও অনেক ফ্লাইটে সিট খালি আছে কিন্তু আমাদের সেই সংখ্যক যাত্রী নেই।

তিনি বলেন, প্রতি বছর স্বেচ্ছায় কিছু সংখ্যক যাত্রী হজে যাওয়া বাতিল করেন। তবে সে সংখ্যাটা পরে জানাতে পারবো। আর যাদের ভিসা হয়েছে তাদের প্রায় সবার টিকিট নিশ্চিত হয়েছে।

এদিকে মোল্ল্যা ট্রাভেলস নামে একটি হজ এজেন্সির ১৭ যাত্রী হজক্যাম্পে এসে হজে যেতে না পেরে ফিরে গেছেন। ১০৪৬ লাইসেন্স নম্বর সংবলিত এই হজ এজেন্সির মালিক মাসুদ রহমান টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাব মহাসচিব বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমি প্রথম শুনলাম। এর আগে কিছু হজ এজেন্সি নিয়ে সমস্যা ছিল। সবগুলো সমাধান করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল মিনা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস’র। সেটাও মিনারের মালিককে আমরা এখানে এনে হজযাত্রীদের যে সমস্যা ছিল তা হজ অফিসের সহযোগিতায় সমাধান করেছি। তবে কেউ যদি প্রতারিত হন তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো।

বিমানের টিকিট হজ এজেন্সিগুলো কেনেনি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিসাপ্রাপ্ত সব হজযাত্রীকে পাঠানো আমাদের কাজ। তারা এক্ষেত্রে কোথায় থেকে টিকিট কিনছে সেটা ব্যাপার না। কেউ যদি কম টিকিট বিক্রি করে তাহলে সেটা তাদের মার্কেটিং বা ওই প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুর্বলতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।