ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

কোরআন নাজিলের পাহাড়ে হাজিদের যেতে নিষেধাজ্ঞা!

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
কোরআন নাজিলের পাহাড়ে হাজিদের যেতে নিষেধাজ্ঞা! কোরআন নাজিলের পাহাড়ে হাজিদের যেতে নিষেধাজ্ঞা

সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে আর কোনো হজ এজেন্সি তাদের হজ প্যাকেজে জাবালে নুর (কোরআন নাজিলের পাহাড়, হেরা পর্বত) দর্শনীয় স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না।

এর কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, জাবালে নুর দর্শনের সময় বহু মানুষ শরিয়ত সমর্থন করে না- এমন কাজ করেন। ইসলাম মতে এসব কাজ অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হজ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলোকে এ নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক এবং হাজিদেরও এটা আগ থেকেই জানিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

মক্কার স্থানীয় সরকারের সুপারিশক্রমে  হজ মন্ত্রণালয়ের এমন আদেশ।  

এছাড়া অনেক হাজি এ পাহাড়ে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে মৃত্যূবরণও করেছেন। তাই এখন থেকে জাবালে নুর জিয়ারত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

জাবালে নুরের অবস্থান মক্কা শরিফ থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত একটি গুহাকে বলা হয়- ‘গারে হেরা’ বা ‘হেরা গুহা’। নবুওয়ত লাভের পূর্বে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই গুহায় ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। এখানেই সর্বপ্রথম অহি নাজিল হয়েছিলো।  
কোরআন নাজিলের পাহাড়ে হাজিদের যেতে নিষেধাজ্ঞা!
নিচ থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টি খুব বেশি উঁচু নয়। কিন্তু আদতে পাহাড়টি বেশ উঁচু। এমনকি জাবালে নূরে যাওয়ার জন্য যেখানে গাড়ি দাঁড়ায়, সেই স্থানটিও সমতল থেকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ফুট ওপরে। সমতল থেকে এটুকু পথ গাড়িতে ওঠা যায়। কেউ অবশ্য এটুকু হেঁটে ওঠেন। আবার কেউ গাড়ি নিয়ে ওঠেন। মূল পাহাড়ের উচ্চতা ৫৬৫ মিটার। এখানে উঠতে হয় হেঁটে।

অনেক দশনার্থী পাহাড়ের চূড়ায় উঠেন। ওপরে উঠার রাস্তা কোনো রকমে পাথর কেটে কেটে সিঁড়ির মতো বানানো হয়েছে। আবার কোথাও পাইপ বা চিকন রডের রেলিং দেওয়া আছে। কিছু দূর উঠে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাঁচটি বিশ্রামাগার রয়েছে।  

এখন থেকে সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর আগে জাবালে নূরের একেবারে চূড়ায় অবস্থিত হেরা গুহায় উঠার জন্য এখনকার মতো রাস্তা ছিলো না। তখন এই পথ বেয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ওপরে উঠতেন। আর উম্মুল মুমিনিন হজরত খাদিজা (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য নিয়ম করে খাবার নিয়ে যেতেন।

যে গুহায় নবী করিম (সা.) নবুওয়তের আগে ধ্যান করতেন এবং যেখানে কোরআন নাজিল হওয়া শুরু হয়, ওই গুহাটির আয়তন ৬ থেকে ৭ বগফুট। দশনার্থীরা এখানে এসে নামাজ পড়েন। চেষ্টা করেন কিছু সময় ধ্যান বা মোরাকাবা করার।

হেরা গুহা ও জাবালে নূর এ দু’টি স্থান ও মুসলমানদের কাছে খুবই প্রিয়। ইসলামের ঐতিহাসিক নির্দেশনাবলীর অন্যতম। মানব জাতির মুক্তির দিক নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ এবং প্রিয় নবীর শ্রেষ্ঠ মুজেজা সবশেষ আসমানি কিতাব কোরআনে কারিম দুনিয়ার বুকে সর্ব প্রথম এখানে নাজিল হয়। যে কারণে এই গুহার মূল্যায়ন এতো বেশি।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮ 
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।