ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

আতর-টুপি-জায়নামাজ বিক্রির হিড়িক

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
আতর-টুপি-জায়নামাজ বিক্রির হিড়িক

ঢাকা: শবে বরাত ও রমজানের শুরু থেকেই উৎসবের আমেজ থাকে দেশের সব মার্কেটগুলোতে।  ব্যতিক্রম নয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে দোকানিরা।

তারা আতর, টুপি ও জায়নামাজের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এ সময় আতর, টুপি ও জায়নামাজ কয়েকগুণ বেশি বিক্রি হয়।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় আতর, টুপি ও জায়নামাজের দোকানে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। মার্কেটের ভেতর ও বাইরের দোকানগুলোতে আতর, টুপি, জায়নামাজ ও নারীদের হিজাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

নরসিংদী থেকে আসা আবু রায়হান বাংলানিউজকে জানান, আমি বাংলাদেশ মেডিকেলে এসেছিলাম একজন রোগী দেখতে সেখান থেকেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় এসেছি কস্তুরী আতর কিনতে। তাছাড়া এখানে সব ধরনের আতর পাওয়া যায়। আতর ছাড়াও এখানে টুপি, তসবি ও জায়নামাজসহ সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।

ফারজানা ফেন্সি হাউসের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আমার দোকানে বিভিন্ন ধরনের আতর, টুপি ও জায়নামাজ রয়েছে। হোয়াইট উদ, হাসনাহেনা, কস্তুরী, কাশ্মিরী উদ, রয়েল অউদ, সিলভার আতর রয়েছে। এসব আতরের দাম ৩৫০ থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও বায়তুল মোকাররমের ডান পাশে বিভিন্ন ধরনের আতরের দোকান রয়েছে। এখানে দুবাই, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ভারত ও পাকিস্তানের আতর এবং সুরমা বিক্রি হয়। দেশি-বিদেশি আতরের মধ্যে রয়েছে ব্লু লেডি, ব্লু ওয়েভ, ব্রাউন মিরেজ ইত্যাদি।

টুপি বিক্রেতা মো. নাঈম জানান, ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। দেশি টুপির পাশাপাশি বিদেশি টুপি বিক্রি করি। আমার দোকানে মিশরি, চায়না, তুর্কি ও পাকিস্তানি টুপি রয়েছে।

তিনি জানান, আমার দোকানে বিভিন্ন রকমের টুপি আছে এগুলো বিভিন্ন দামে বিক্রি করছি। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ ও ৪০০ টাকা মূল্যের টুপি রয়েছে। এসব টুপির মধ্যে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা মূল্যের টুপিও রয়েছে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী টুপি কিনছেন। নামাজের আগে ও পরে এখানে ব্যবসা একটু ভালো হয়। তবে শবে বরাত ও রোজার কারণে গতবারে তুলনায় এবারে বেচাকেনা একটু বেশি।

জায়নামাজ বিক্রেতা মোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, আমার দোকানে বিভিন্ন ধরনের জায়নামাজ রয়েছে। ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা মূল্যের জায়নামাজও রয়েছে। তুর্কি আর চায়না ছাড়াও সৌদি আরবের জায়নামাজও রয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবারে একটু দাম বেশি। তবুও ক্রেতারা কিনছেন বলেই জানান মোরশেদ আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।