ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

দাড়ি রাখা নিয়ে কটূক্তি নয়

ইসলাম ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
দাড়ি রাখা নিয়ে কটূক্তি নয়

প্রায়ই অনেককে বলতে শোনা যায়, কি তুমি ছাগলের মতো দাড়ি রেখেছো কেন? কিংবা দাড়িতে তোমাকে ছাগলের মতো লাগছে। এছাড়া বিদ্রুপ করে দাড়িওয়ালাকে কাঠ মোল্লা, হুজুর, বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে।

অনেক সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার অধিনস্ত কর্মীদের দাড়ি একটু বড় হতে দেখলেই বলে ওঠে, অফিসে সেভ করে ফিটফাট হয়ে আসবে। কিন্তু সবারই জানা উচিৎ যে, ইসলামে দাড়ি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলিম পুরুষের লক্ষণ এবং আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম(সা.) এর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত।  

বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি-

হযরত আবু হুরায়রা(রা.) ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল(সা.) বলেছেন, মুশরিকদের বিরোধীতা কর, দাড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর। (বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫, মুসলিম ও মুসলিম শরীফ, ১/১২৯)

হযরত আয়েশা(রা.)  বলেন, রাসুল(সা.) ইরশাদ করেছেন, দশটি বিষয় সব নবী রাসুলের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম। (মুসলিম শরীফ,১/১২৯)

আরেক বর্ণনায় এসেছে রাসুল(সা.) বলেছেন, গোঁফ কাট এবং দাড়ি ছড়িয়ে রাখ।

এসম্পর্কে আরও বর্ণনায় এসেছে, সাহাবী হযরত খাব্বাবকে(রা.) একজন জিজ্ঞেস করেন, রাসুল(সা.) কি জোহর ও আছর নামাযে কেরাত পরতেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ, পাঠ করতেন। লোকটি আবার প্রশ্ন করেন, আপনি কীভাবে তা বুঝতেন? তিনি বলেন, রাসুল(সা.) এর দাড়ি মুবারকের দোলায় আমরা বুঝতাম যে, তিনি কেরাত পাঠ করছেন। (তাহাবী শরীফ)

এ হদিসগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে মুসলিম পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা অবশ্য কর্তব্য। দাড়িতে আমাদের দেখতে ভালো না লাগলেও আমরা আল্লাহ ও রাসুলকে (সা.) ভালবেসে দাড়ি রাখব।
 
হাদিসে রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ভালবাসলো সে যেন আমাকেই ভালবাসলো। আর যে আমাকে ভালোবাসলো সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে। (তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)

হানাফী, হাম্বলী, মালেকী ও শাফেয়ী এ চার মাজহাবেই দাড়ি মুণ্ডন হারাম।

ইসলামী শরিয়তের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে সুন্নাত। দাড়ি রাখা সুন্নাতটি যদি কেউ নাও পালন করতে পারে তাহলে পরে তার এ আমলটি করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দাড়ি নিয়ে হাসি তামাশা করা খুবই গর্হিত অপরাধ। এ ব্যাপারে কটূক্তি করা মানে রাসুল(সা.) এর একটি সুন্নাতকেই উপহাস করা। যা একেবারেই উচিৎ নয় এবং এর জন্য পরকালে উপহাসকারীকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। তাই আসুন আমরা দাড়ি রাখার চেষ্টা করি এবং আর এখনই যদি তা সম্ভব না হয় অন্তত দাড়ি নিয়ে কটূক্তি করা থেকে বিরত থাকি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।