ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কোরীয় আলোচনায় সফলতা, ট্রাম্পের পোয়াবোরো!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
কোরীয় আলোচনায় সফলতা, ট্রাম্পের পোয়াবোরো! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ঢাকা: উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে মঙ্গলবারের ঐতিহাসিক আলোচনা সফল হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ও বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও উত্তেজনা চলছিল, স্বল্প সময় স্থায়ী একটিমাত্র সফল বৈঠকের পর অবিশ্বাস্যভাবে তা মিইয়ে এলো।

নেই কোনো হুমকি ধমকি। বরং খুলে গেছে সর্ম্প উন্নয়নের দরোজা।

এজন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন কৃতিত্ব দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।  

বুধবার মি. মুন সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনা যে হতে পেরেছে এবং সফলও যে হয়েছে তার বড় কৃতিত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। এজন্য আমি তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।  

প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি ভোরে দেওয়া এক টুইটে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তার কারণেই আলোচনা সম্ভব হয়েছে। তার অঙ্গীকার এবং দৃঢ় মনোভাবের কারণেই শেষ পর্যন্ত দুই কোরিয়ার আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়েছে।  

দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের কথাতেও সে কথারই প্রতিধ্বনি। তিনিও মনে করেন, টুইট বার্তায় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘আমাদের সম্মিলিত ক্ষমতা নিয়োজিত করার প্রবল ইচ্ছা ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করার দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ করার মধ্য দিয়েই তা করেছেন। ’ 

মুন আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা এবং অব্যাহত চাপও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। উত্তর কোরিয়া এজন্যেই আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে।  

এভাবেই প্রতি বাক্যে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত ও অস্থিরচিত্ত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচিত ট্রাম্পের প্রশংসা ঝরেছে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের কণ্ঠে।  

উল্লেখ্য, গত দু’বছরের মধ্যে বিবদমান দেশ দুটির মধ্যে এটাই প্রথম আলোচনা। দেশ দুটির মধ্যে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর থেকেই উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলছিল। মঙ্গলবার তা নামল। স্নায়ুচাপ ও হুমকি-ধমকি কমলো।  

সবচেয়ে বড় কথা আলোচনার সফলতার হাত ধরে উত্তর কোরিয়া শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে তাদের প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হয়েছে। তাছাড়া গেমস চলাকালে দুদেশের বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো আবার পরস্পরের সাথে মিলিত হবার সুযোগ পাবে।  

এই সফলতার কারণে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনাকর বাকযুদ্ধের আপাত অবসান যেমন হয়েছে, তেমনি দুর্ঘটনাক্রমে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও দূর হয়েছে।  

মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দু’দেশের সীমান্তবর্তী ‘শান্তিগ্রাম’ পানমুনজমে শুরু হওয়া এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সফল হয়েছে মর্মে যুগান্তকারী ঘোষণাটি দেওয়ার পরপরই দুদেশের প্রতিনিধিরা পরস্পরকে আনন্দে জড়িয়ে ধরে উল্লাস প্রকাশ করেন।

‘আলোচনা সফল’ –একথার অর্থ উত্তর কোরিয়া শীতকালীন অলিম্পিকে দল পাঠাবে। সিউল চায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় দুদেশের অ্যাথলেটরা একসঙ্গে মার্চ করুক, যেমনটি তারা করেছিল কোরীয় উপদ্বীপের পতাকা হাতে, ১০ বছর আগে ২০০৬ সালের উইন্টার অলিম্পিকে। তবে এ প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়া রাজি হয়েছে কিনা জানা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।