ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিডনিতে সি-প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
সিডনিতে সি-প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশি তৎপরতা। ছবি: বিবিসি

উত্তর অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী হাওকেসবারি নদীতে সি-প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ছয়জনের পরিচয় জানতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় খাদ্য ফার্ম কম্পাস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ৫৮ বছর বয়সী রিচার্ড কাসিনস ও তার পরিবারের ৪ সদস্য এবং সি-প্লেনটির পাইলট রোববারের (৩১ ডিসেম্বর) ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন বলে জানিয়েছেন তার ফার্মের কর্মকর্তারাও।

নিহতদের মধ্যে আছেন রিচার্ডের বাগদত্তা এমা বউডেন (৪৮) ও তার ১১ বছর বয়েসী মেয়ে হিউদার বউডেন এবং কাসিনসের দুই ছেলে উইলিয়াম কাসিনস (২৫) ও এডওয়ার্ড কাসিনস (২৩)।

অস্ট্রেলিয়ান পাইলট পাইরেট গ্যারেথ মরগান (৪৪) নিহত ছয়জনের মধ্যে ছিলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের এই ব্যবসায়ী তার দুই ছেলে এবং বাগদত্তা ও তার মেয়েকে নিয়ে নববর্ষের প্রাক্কালে সি-প্লেনটির যাত্রী হয়ে জেরুজালেম উপসাগরের একটি অনন্য জলপ্রপাতের রেস্টুরেন্টে যান। দুর্ঘটনার সময় সিডনিতে ফিরে আসার কথা ছিল সি-প্লেনটির।

সিডনি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের কোয়ান উপকূলের ওই নদীতে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ। সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশের ডুবুরিরা ৪৩ ফুট
গভীর পানিতে ডুবে যাওয়া সি-প্লেনটির নিহত ছয় যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেন।

ডুবুরিদের উদ্ধার তৎপরতা।  ছবি: সংগৃহীতদুর্ঘটনার প্রায় একদিন পর সোমবার (০১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে নিহতদের পরিচয় তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ দুর্ঘটনার পর থেকেই যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল।

রিচার্ড কাসিনস পরিবারের প্রতি গভীরতম সহানুভূতি জানিয়ে ২০০৭ সাল থেকে পরিচালিত কম্পাস গ্রুপের চেয়ারম্যান পল ওয়ালশ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘মহান মানবতা ও কর্মপদ্ধতির জন্য রিচার্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যা কম্পাসকে ব্রিটেনের নেতৃস্থানীয় কোম্পানিতে পরিণত করেছে’।

সিঙ্গেল ইঞ্জিনের সি-প্লেনটি ২০০৫ সাল থেকে পরিচালিত সিডনি সি-প্লেনস্‌ কোম্পানির, যার দুর্ঘটনার পূর্ববর্তী কোনো রেকর্ড নেই। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত সি-প্লেনের ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যারন শ’।

কোম্পানিটি এখন সি-প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে অস্ট্রেলিয়ার পরিবহন নিরাপত্তা ব্যুরোর (এটিএসবি) সঙ্গে কাজ করছে।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানও শুরু করেছে পুলিশ। ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে আশাবাদী বলেও কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, কি ঘটেছিল- সেটি খুঁজে বের করতে এক বছর সময় লাগতে পারে।

 সিঙ্গেল ইঞ্জিনের সি-প্লেনটি ২০০৫ সাল থেকে পরিচালিত সিডনি সি-প্লেনস্‌ কোম্পানির।  ছবি: বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শী মাইলস ব্যাপ্টিস্ট জানান, সি-প্লেনটি নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় তার থেকে ৫০০ মিটার দূরে ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই উড়োজাহাজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক আগে ডানদিকে ঘুরে যায়। আগে এর পাখা ডোবে এবং পর মুহূর্তে সরাসরি পানিতে আঘাত হেনে বিধ্বস্ত ও ডুবে যায়। এটিএসবি জানায়, নদীতে দ্রুত ডুবে যায় সেটি।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, কনস্যুলার কর্মকর্তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে আছেন এবং কর্মীরা ‘কনস্যুলার সহায়তা দিতে প্রস্তুত’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এএসআর

** নববর্ষে সিডনিতে নদীতে সি-প্লেন বিধ্বস্ত, নিহত ৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।