ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চলবে যুক্তরাষ্ট্রে। নিউ ইয়র্কের আদালত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এ নির্দেশ দিয়েছেন।
বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির অনুমোদন পেতে অন্ধ্রপ্রদেশসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের (যার মধ্যে মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন) ঘুষ দিয়েছিল গৌতমের মালিকানাধীন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’ (এজিএল)। এমন অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে।
তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দপ্তর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি (সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) যথাক্রমে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযোগপত্র পেশ করেছিল।
ফৌজদারি অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৭ সালে চালু হওয়া মার্কিন ঘুষ বিরোধী আইন ‘ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস অ্যাক্ট’ (এফসিপিএ) লঙ্ঘনের পাশাপাশি সিকিয়োরিটিজ (শেয়ার এবং ঋণপত্র) সংক্রান্ত এবং ওয়্যার (টেলিফোনসহ বৈদ্যুতিক যোগাযোগ মাধ্যম) ব্যবহার করে প্রতারণার ষড়যন্ত্র। দেওয়ানি আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে, শেয়ার এবং ঋণপত্রের বাজারের নিয়ম লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রতারণার।
গত ২১ নভেম্বর নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণসহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) পেশ করেছিল সংস্থা এসইসি এবং ন্যায়বিচার দপ্তর। গৌতম, তার ভাইপো সাগর, সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর বিনীত জৈন এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বেচার চেষ্টা করেছিলেন। ঘুষের কথা গোপন করে আমেরিকা ব্যাংক এবং লগ্নিকারীদের থেকে প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা তোলে এজিএল।
তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল। আদানি গোষ্ঠী সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি এবং সংস্থার মধ্যে বিচারাধীন বিষয়। দিল্লির কাছে কোনও গ্রেপ্তারের পরোয়ানা বা সমন পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ আসেনি।
সূত্র: দ্য হিন্দু
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৫
এমজে