ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চব্বিশে যত উত্থান-পতন

রকিবুল সুলভ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
চব্বিশে যত উত্থান-পতন

২০২৪ সালকে ক্ষমতার পালাবদলের বছর বললে অত্যুক্তি করা হবে না। এ বছর পৃথিবীর বহু গুরুত্বপূর্ণ দেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে।

কোথাও নির্বাচনের মাধ্যমে তো কোথাও গণঅভ্যুত্থানে পাল্টেছে শাসক। এ বছরই নির্বাচনের জেতার মাধ্যমে নতুন বছরে হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  
অনেকটা পূর্বনির্ধারিত জয়েই রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আবার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই ক্ষমতার পালাবদল বিশ্ব রাজনীতির জটিল সমীকরণকে করেছে আরও জটিল।

‘ট্রাবলমেকার’কে  প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিল তাইওয়ান

বছরের শুরুতে ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ভোটের দিকে গভীর নজর ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের। স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপটি ওয়াশিংটন ও বেইজিং— দুই পক্ষের জন্যই কৌশলগতভাবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাররা ৬৪ বছর বয়সী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে কে বেছে নেন তাইওয়ানকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।

ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি বা ডিপিপিকে ভোট না দিতে চীনের পক্ষ থেকে হুমকি ছিল। কারণ দলটিকে চীন তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষের বলে মনে করে। বেইজিংয়ের চোখে লাই চিং-তে একজন ট্রাবলমেকার বা সমস্যা সৃষ্টিকারী এবং বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী।

ইমরানকে জেলে রেখেই পাকিস্তানে নির্বাচন

বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর সরকার গঠনের বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছে দুই রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ-নওয়াজ ও পিপলস পার্টি। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদ দুটির মনোনয়ন তারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ভোটাভুটি হয়। সেখানে ২০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন শেহবাজ শরিফ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থী উমর আইয়ুব পান ৯২টি ভোট। এই নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশ ভালো জায়গা করে নেন।

দিল্লির মসনদে ফের মোদী

ভারতে নতুন সরকার গঠনের জন্য যতগুলো আসন দরকার, তার চেয়ে কম থাকলেও নতুন সরকার গঠনে জোট সঙ্গীদের সমর্থন পায় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান নরেন্দ্র মোদী।

এর আগে এনডিএ জোট থেকে নির্বাচিত লোকসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জোটের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয় মোদীকে। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় এনডিএ।  

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। একইসঙ্গে তিনি নতুন সরকার গঠনের অনুমতি দেন।

কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পুতিনের

চলতি বছরের মে মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে শপথ নেন ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ছয় বছর মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে শপথ নেন ৭১ বছর বয়সী পুতিন। মার্চে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পান তিনি।

এ নির্বাচনে যুদ্ধবিরোধী দুই প্রার্থীকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। ক্রেমলিনেরই অনুগত অন্য তিন প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পাওয়ার পর পুতিন বলেন, রাশিয়ার গণতন্ত্র পশ্চিমা অনেক দেশের চেয়েও বেশি স্বচ্ছ। অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলো এক সুরে দাবি করেছে, ভোট অবাধ বা সুষ্ঠু কোনোটিই হয়নি।

সুনাকের পদত্যাগ, দ্রুত ক্ষমতার পালাবদল

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেনে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে যায় বেশ দ্রুততার সঙ্গে। যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪১২টি আসনে জয় পায় লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পায় ১২১টি আসন। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে যায় কনজারভেটিভ পার্টি।

রাজা চার্লস্ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ঋষি সুনাক। পরে রাজার সঙ্গে দেখা করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তাকে সরকার গঠন করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন তিনি।

‘রহস্যে ঘেরা’ দুর্ঘটনায় রাইসির প্রয়াণ, সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট

ইরানে নির্ধারিত সময়ে আগামী বছরের জুনে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে ইব্রাহিম রাই এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে যায়। সংবিধান অনুযায়ী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হন সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটে কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে সংস্কারপন্থী এ নেতা ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়া অধিকাংশই শহুরে মধ্যবিত্ত এবং তরুণ। তারা ইরানে বহু বছর ধরে চলমান সামাজিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন বলে তাকে ভোট দেন।

গণঅভ্যুত্থানে ‘আয়রন লেডি’র পলায়ন

শেখ হাসিনাকে অনেকে গত এক যুগ ধরে ‘আয়রন লেডি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। সাড়ে ১৫ বছর ধরে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্ষমতায় টিকে থাকা একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন, তা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আর কেউ এভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ডাকে ‘লং মার্চ টু’ ঢাকা কর্মসূচিতে চলতি বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর আগে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে ছাত্র-জনতার টানা কয়েক দিনের সংঘর্ষ চলে। এতে কয়েকশ মানুষের প্রাণ যায়। বহু মানুষ আহত হন।  

৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতেই এখন দেশ চলছে। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপোড়েন চলছে।

শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে, ভারত-চীন সামলানোর চ্যালেঞ্জ

শ্রীলঙ্কায় গণ-বিক্ষোভের মুখে রাজাপাকসে সরকারের পতনের পর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে জিতে ৫৫ বছর বয়সী অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তিনি ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) নামে রাজনৈতিক জোটের নেতৃত্ব দেন। দলটিকে ভারতের প্রধান ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ঘনিষ্ঠ বলেই দেখা হয়।

ভারত ও চীন দুই দেশই দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করেছে দুই দেশই। শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার ভারত ও চীনের সঙ্গে কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্পের নাটকীয় প্রত্যাবর্তন

বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম ক্রীড়নক যুক্তরাষ্ট্রেও চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে নিশ্চিতভাবে এটিই সবচেয়ে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পছন্দসই মনোনয়ন দিয়েছেন।  

ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণার পর্বে ট্রাম্পকে দুই দফা হত্যা চেষ্টা হয়, তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নাম সরিয়ে নেন। তার স্থলে আসেন কমলা হ্যারিস। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে অঙ্গরাজ্যগুলোতে হয়েছে, সেসব অঙ্গরাজ্যে আমেরিকানরা ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেন। ভোটারদের অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পেছনে অর্থনীতি ও অভিবাসনের মতো ইস্যুগুলোকে সামনে রাখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা। নির্বাচনের পর জনসমক্ষে দেওয়া প্রথম দীর্ঘ বক্তব্যে ট্রাম্প তার সমর্থকদের জানান, তার অন্যান্য অগ্রাধিকার হবে মধ্যপ্রাচ্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত, ভঙ্গুর, ব্যর্থ প্রশাসনকে সাফ করা। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বিশ্বব্যাপী শুল্কযুদ্ধ নতুন মাত্রা পাবে। এর ইঙ্গিতও তিনি এরইমধ্যে দিয়েছেন।

সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের অর্ধ শতাব্দীর শাসনের অবসান

বছরের শেষ দিকে এসে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করে বিদ্রোহীরা। এর মাধ্যমে শুধু বাশারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসনের ২৪ বছর নয়, বরং তার পরিবারের ৫০ বছরের শাসনের অবসান হলো।

হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করছে। আর একইসঙ্গে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ। তারা এখন রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। সেখানে পুতিন সরকার তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।  

২০১১ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন সিরিয়াকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। ওই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও অধিক মানুষ মারা যায় এবং শরণার্থীতে পরিণত হয় অন্তত ৬০ লাখ মানুষ।  

রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতা নিয়ে বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের দমন করে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন। পাশাপাশি ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ তাদের প্রশিক্ষিত যোদ্ধাদের মোতায়েন করেছিল। এখন সহযোগীরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্টের পতন নিশ্চিত করে।

এসবের বাইরে বছরের শেষে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের সরকারের পতন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পাওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় সরে যেতে হলো বার্নিয়েকে। অন্যদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আস্থা ভোটে হেরে গেছেন। ফলে তাকেও সংসদ ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে হবে প্রেসিডেন্টকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।